|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা |
নামমাত্র |
মেলা বদল |
শান্তনু ঘোষ |
বদলে গিয়েছে মেলার নাম, স্থান। আগে যেটা ছিল ‘বেলঘরিয়া উৎসব’, সেটাই এখন হয়েছে ‘বেলঘরিয়া-কামারহাটি বইমেলা ও উৎসব’। বামফ্রন্টের আমলে বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে বেলঘরিয়া সমন্বয় সমিতির পরিচালনায় শীতকালীন এই উৎসবের আয়োজন করা হত। কিন্তু ২০১১-এ রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতেই বদলে গিয়েছে মেলাও।
বেলঘরিয়া সমন্বয় সমিতি ভেঙে তৈরি হয়েছে নতুন একটি সংগঠন। নাম ‘দেশপ্রেমিক ক্লাব সংহতি’। এই সংগঠনের আয়োজনেই অনুষ্ঠিত হল ন’দিনের বইমেলা ও উৎসব। তবে বাম আমলের মতো এখনও মেলা বা উৎসবের কর্তাব্যক্তি কিন্তু রাজনৈতিক ‘দাদা’রাই। যেমন, এই উৎসবের মাথায় রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ও সাংসদ সৌগত রায়।
তবে রাজনৈতিক সমীকরণ যাই হোক না কেন, বইমেলা ও উৎসবে অংশগ্রহণকারী মানুষজন বলছেন, “বছরে এমন একটা অনুষ্ঠান কে না চায়। তা যে দলই আয়োজন করুক না কেন।” |
|
ছবি: বিতান ভট্টাচার্য |
বেলঘরিয়া দেওয়ানপাড়া ক্রীড়া প্রাঙ্গণ ও বসন্ত বিহার ক্লাব প্রাঙ্গণে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই মেলা-উৎসবের। সূচনা করেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছিলেন অন্যান্য মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিও। ‘বেলঘরিয়া-কামারহাটি বইমেলা ও উৎসব’ কমিটি-সূত্রের খবর, পুরো অনুষ্ঠানটিকে তিনটে ভাগে ভাগ করা ছিল। মূল মঞ্চে প্রতিদিন বিকেল থেকে চলেছে জলসা। কোনও দিন দেবশ্রী রায়ের নাচের দল, চন্দ্রবিন্দুর গান তো কোনও দিন নচিকেতার গান, ছো নাচ। বইমেলায় বাংলাদেশের বইয়ের স্টল-সহ ছিল মোট ৫২টি স্টল। পাশের মাঠে ছিল শিক্ষামূলক প্রদর্শনীর স্টল। এ ছাড়াও মেলা-উৎসব উপলক্ষে এলাকার ২০টি স্কুল, ক্লাব, গ্রন্থাগারে স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গান, নাচ, আবৃত্তি, বিতর্ক, বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন হয়েছিল। |
|
|
|
|
|