পূর্ব কলকাতা
এম বি রোড
আটকে সংস্কার
যাতায়াতের মূল রাস্তা। কিন্তু এই রাস্তায় যেতে হবে শুনলেই কপালে ভাঁজ পড়ে নিমতাবাসীর। সারা পথ খন্দে ভরা। অভিযোগ, তাপ্পি দূর অস্ৎ, দীর্ঘ দিন রাবিশ ফেলাও হয় না। যেতে চান না রিকশা ও অটোচালকেরা। এ ছবি মধুসূদন ব্যানার্জি রোড বা এমবি রোডের। অভিযোগ, প্রশাসনিক টালবাহানায় সংস্কারের কাজ আটকে আছে।
এমবি রোড নিমতার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। সকাল থেকেই পথচারী থেকে গাড়ির ভিড় লেগে থাকে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রাস্তায় গাড়ির চাপ অনেকে বেড়েছে। রাস্তার ধারে নদীকুলের পুরনো বাসিন্দা বৃদ্ধ শিক্ষক মিনতি রায় বললেন, ‘‘জনসংখ্যা আর গাড়ির চাপ বাড়লেও রাস্তার দিকে প্রশাসনের হুঁশ নেই।’’ রাস্তার এই অবস্থা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, দু’বছর ধরে এই রাস্তার হাল ক্রমে খারাপ হলেও পূর্ত দফতর বা পুর-প্রশাসন কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে?
সিপিএম পরিচালিত উত্তর দমদম পুরসভার দাবি, রাস্তার দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য পূর্ত দফতরের। তাই পুরসভার কিছু করণীয় নেই। অভিযোগ, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এমবি রোড আর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগস্থলে। বড় বড় গর্তে ভরা। অভিযোগ, জলের পাইপ ফেটে গর্তগুলি জলে ভরে থাকে। তিন রাস্তার এই মোড় এতটাই বিপজ্জনক যে ছোট গাড়ি যে কোনও সময়ে উল্টে যেতে পারে। গোপাল পাত্র এই রাস্তায় বছর তিনেক অটো চালাচ্ছেন। তাঁর কথায়: “এমনিতেই রাস্তা খুব খারাপ। এই অংশটুকু খুব সাবধানে চালাই। একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” পুরসভা সূত্রে খবর, এই মোড়ের জন্য এমবি রোডের সংস্কারের কাজ আটকে আছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রাস্তার সংস্কারে দেরি হওয়ার কারণ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সমন্বয়ের অভাব। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের সুনীল চৌধুরী বলেন, ‘‘রাস্তাটি তৈরির দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে। মালপত্রও পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে এমবি রোডে কেএমডিএ’র পাইপ লাইন ফেটে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। জলের পাইপ কে ঠিক করবে তা নিয়ে টালবাহানা চলছিল। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে আমরাই সারাব। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’ পূর্ত দফতর সূত্রেও খবর, কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।
ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘সমস্ত দফতরকে কাজের খতিয়ান ও পরিকল্পনা অবিলম্বে দিতে বলেছি। প্রশাসনিক বৈঠকে এই জাতীয় বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে।’’



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.