অকপট স্বীকারোক্তি রবিচন্দ্রন অশ্বিন-এর। শুক্রবার চিপকের গোটা দিনে
ভারতের
একমাত্র উজ্জ্বল মুখ। তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন গৌতম ভট্টাচার্য। |
প্রশ্ন: ক্লার্কের পরিষ্কার আউটটা না পেয়ে কী মনে হল?
অশ্বিন: কী আর বলব। খেলার অঙ্গ বলতে হয়। বলটা তো অবশ্যই ওর ব্যাটে লেগেছিল। আমরা জানি। ও নিজেও জানে। ধর্মসেনা নিজে অফস্পিনার ছিলেন। তার পরেও কী করে যে এজ-টা মিস করলেন, জানি না।
প্র: একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার ছ’টা উইকেট পড়েছে। আর ছ’টাই নিয়েছেন আপনি। তখন কুম্বলের দশ উইকেট মনে পড়ছিল?
অশ্বিন: মনে পড়ছিল না বললে মিথ্যে বলা হবে। যে ভাবে আজ বলগুলো হাত থেকে বেরোচ্ছিল, তাতে নিজের মধ্যেই ভরসা জাগছিল। জিনিসটা ঘটে যেতে পারে। ছন্দটা আসলে মধ্যিখানে হারিয়ে গেল, হাতে লেগে মাঠের বাইরে চলে যেতে হওয়ায়। ফিরে এলাম যখন, তখন সেই ব্যাপারটা যেন থিতিয়ে গিয়েছে।
|
প্র: ইংল্যান্ড সিরিজটা এত খারাপ যাওয়ার পরে আজ এত ভাল বল করলেন কী করে?
অশ্বিন: (প্রশ্নকর্তার দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে) কে বলেছে আপনাকে যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমার খারাপ সময় গিয়েছে? এটা আপনার ধারণা। দূর থেকে বসে অনেক কিছুই ধারণা করা সম্ভব। আমি জানি ইংল্যান্ডকে আমি ঠিক একই বল করেছি। রেজাল্ট হয়তো আলাদা হয়েছে।
প্র: অস্ট্রেলিয়ার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি কী ছিল?
অশ্বিন: আমি বিশেষ কোনও টিমের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিই না। আমি নিজের বোলিংটা যাতে ঠিকঠাক পড়ে সেই খেয়ালটা রাখি। স্রেফ সে দিকটায় মন দিই।
প্র: তবু আপনাকে আজ ভীষণ স্বচ্ছন্দ দেখিয়েছে।
অশ্বিন: আমি নিজের কোচ সুনীল সুব্রহ্মণ্যমকে পুরো কৃতিত্ব দিতে চাই। আজকের পারফরম্যান্সটা ওকেই উৎসর্গ করছি। খুব সামান্য একটা অ্যাডজাস্টমেন্ট উনি আমার করে দিয়েছেন। বলটা ছাড়ার সময় শরীরের পজিশনিং।
প্র: প্রজ্ঞান ওঝাকে বাদ দেওয়া হল কেন?
অশ্বিন: উত্তরটা যদি জানা থাকত তো বলতাম। জবাবটা জানি না। মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার এতগুলো বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান বলে দুই অফস্পিনার। আমি ক্যাপ্টেন হলেও তাই করতাম। |