বিদায় নিলেন চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন দুই পুত্র স্নেহাশিস ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান চণ্ডীবাবু, যিনি গত ৪০ বছর ধরে বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুক্রবার পৌনে এগারোটা নাগাদ তাঁর মরদেহ বেহালার বাড়ি থেকে প্রায় পারিবারিক ক্লাব হয়ে ওঠা বড়িশা স্পোর্টিং হয়ে নিয়ে আসা হয় ইডেনের ক্লাব হাউসে, যেখানে জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন তিনি। সেখানে প্রায় পনেরো মিনিট শায়িত থাকে তাঁর দেহ। সিএবি-র পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া থেকে শুরু করে একে একে কর্তা ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সিএবি-র পক্ষ থেকেই মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর দুই ক্রিকেটার পুত্র। যখন তাঁর মরদেহ ইডেনে নিয়ে আসা হয়, তখন সেখানে বিজয় হাজারে ট্রফির খেলা চলছিল বাংলা ও অসমের মধ্যে। |
প্রয়াত চণ্ডীবাবুর স্মরণে এ দিন ইডেনে ক্রিকেটাররা মাঠে নেমেছিলেন কালো ব্যাজ পরে। খেলার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনও করে দু’দল। চণ্ডীবাবুর মরদেহ এরিয়ান ক্লাব হয়ে শ্মশানের পথে রওনা হওয়ার সময় আরও একবার নীরবতা পালন করেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
সকালে চণ্ডীবাবুর মরদেহ যখন বড়িশা স্পোর্টিং ক্লাবে নিয়ে আসা হয়, তখন প্রচুর মানুষের ভীড়। বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক ও শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পা মেলান শোক মিছিলে। শোকজ্ঞাপন করতে শশ্মানে যান ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। |
সৌরভকে দেখতেই ভীড় হয় বেশি। শোকের এই মুহূর্তে বাড়ির সামনের রাস্তায় এবং কেওড়াতলায় অত্যুৎসাহীদের আচরণ দেখে বেশ বিরক্ত হচ্ছিলেন ভারতের সফলতম প্রাক্তন অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নির্বিঘ্নেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। |