|
|
|
|
বেআইনি পাথর বোঝাই গাড়ি ধরা পড়ল বেলদায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বেআইনি ভাবে খাদান থেকে পাথর তুলে বিক্রি করতে যাচ্ছিল ৬টি লরি। শুক্রবার সকালে ওই ৬টি লরিকে ধরে ফেলল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদাতে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লরিগুলি পাথর বহন করছিল। লরিগুলিকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বহু জায়গায় পাথর ও বালি খাদান রয়েছে। ওই সব খাদান থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শ’য়ে শ’য়ে লরি বালি ও পাথর নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করে দেয়। এমনকী পাশাপাশি জেলাতেও পাথর, বালি পাঠানো হয়। সরকারি ভাবে ক্যারিং অর্ডার (সিও) না নেওয়ায় সরকার রাজস্বও পায় না। সম্প্রতি এই ধরনের বেআইনি খাদান ও পাথর-বালি বহনকারী গাড়ি ধরার জন্য জোর তল্লাশি শুরু করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। প্রায় প্রতিদিনই ধরা পড়ছে। এই ভাবেই শুক্রবার আটকানো হয়েছে ওই ৬টি লরি।
এ দিকে, পাথর তুলতে গিয়ে একটি নদীর পথ রুদ্ধ করার অভিযোগে সম্প্রতি বেলপাহাড়ি থানা এলাকার বাখড়া মৌজাতে থাকা একটি পাথর খাদানের অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে প্রশাসন। যদিও ওই খাদান থেকে সরকারি অনুমতি নিয়েই পাথর তুলছিলেন খাদান মালিক চন্দন হালদার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদানের পাশ দিয়ে গিয়েছে তারাফেনি নদী। খাদান থেকে বড়-বড় পাথর তোলার সময় অতিরিক্ত ছোট নুড়িপাথর ও মাটি নদীতে ফেলে দিচ্ছিলেন খাদান মালিক। ফলে নদীর গতি রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল। অভিযোগেরসত্যতা মেলায় খাদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। চন্দন হালদারের ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। তারই সঙ্গে নদী পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দমবাবু বলেন, “উনি জরিমানার টাকা দিয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও নদী সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা হয়। নদী সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়েছে দেখার পরেই ফের খাদান চালাতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কি না ভাবা হবে। আপাতত ওই খাদানটি বন্ধ থাকবে।” |
|
|
|
|
|