|
|
|
|
বন্ধ একশো দিনের প্রকল্পের কাজ |
ডেবরায় তৃণমূলে কোন্দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের কোন্দল পিছু ছাড়ছে না ডেবরায়। এ বার একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সুপারভাইজার নিয়োগকে কেন্দ্র করে ডেবরার এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দলের ব্লক সভাপতির বিরোধ এল প্রকাশ্যে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় দলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন জেলা নেতৃত্বও। এমন ঘটনায় কী দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ছে না? উত্তর এড়িয়ে বিধায়ক তথা দলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতির বক্তব্য, “ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
ডেবরায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কিছু নয়। ডেবরার ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র দু’টিতে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূলতারই একটি খানামোহন। এই ঘটনার সূত্রপাত খানামোহন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুলডিহা পশ্চিম সংসদে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সুপারভাইজার নিয়োগকে কেন্দ্র করে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিতাই মাইতি জানান, আগের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় পঞ্চায়েতে আলোচনা করেই নতুন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়। এই নিয়ে একটি চিঠি ১২ ফেব্রুয়ারি বিডিও’র দফতরে জমা হয়। সেই মতো গত মঙ্গলবার থেকে ওই সংসদে একশো দিনের কাজ শুরু হয়। কিন্তু, ২০ তারিখ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা রতন দে আচমকাই আগের সুপারভাইজারকে কেন বাদ দেওয়া হল তা জানতে চান গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব এবং নির্বাহী সহায়কের কাছে। প্রধান নিতাইবাবুর বক্তব্য, “নতুন সুপারভাইজার নিয়োগে বিরক্তি প্রকাশ করে কাজ বন্ধ রাখার হুমকিও দিয়েছেন রতনবাবু। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের কর্মীরা কাজ করা উচিত হবে-না বলে জানানোয় একশো দিনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল সংসদে।”
বিডিও’র কাছে চিঠি পাঠানোর কথা মেনে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা আমার সঙ্গে কথাই বলেননি। তাই সমস্যার কথা জানিয়ে বিডিওকে চিঠি দিয়েছি।” বিরোধী দলনেতা রতনবাবু আবার তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি। ফলে এই অভিযোগ দলের অন্দরে এমনকী, প্রশাসনের অন্দরেও অন্য মাত্রা পেয়েছে। এই চিঠি প্রসঙ্গে রতনবাবু বলেন, “হঠাৎ করে নতুন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।”
পঞ্চায়েত প্রধানের চিঠি পেয়েছেন মেনে নিয়ে ডেবরার বিডিও মালবিকা খাটুয়া বলেন, “চিঠি পেয়েছি। সমস্যা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|