একশো দিনের কাজ প্রকল্পে আরামবাগের হরিণখোলা ১ পঞ্চায়েতের দু’টি পাশাপাশি গ্রামের দু’টি পুকুর সংস্কারের কাজ চলছিল। কিন্তু দুই পুকুরের মাটি ফেলাকে ঘিরে দু’টি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের বিরোধের জেরে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল সংস্কার কাজ। সমস্যায় পড়লেন প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক।
বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “পরিস্থিতি এমনই উত্তপ্ত হয়েছিল যে কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সব পক্ষকে নিয়ে শীঘ্র আলোচনা হবে। বেকার হয়ে পড়া ২৫০ জন শ্রমিককে অন্য কোথাও কাজে লাগানো যায় কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
গ্রাম দু’টি হল বাখরচক এবং সাহাবাগ। দু’টি গ্রামই প্রতি বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়। তা ছাড়া, মুণ্ডেশ্বরী নদীর প্লাবনেও গ্রাম দু’টিতে জল ঢোকে। সেই কারণে এ বার বর্ষার আগেই গ্রাম দু’টির দু’টি বড় পুকুর সংস্কারের কাজে হাত লাগানো হয়েছে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। কিন্তু এই অবস্থায় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এ ভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পঞ্চায়েতের স্থায়ী সম্পদ তৈরির কাজেও বিপত্তি ঘটল।
বাখরচকের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তাদের পুকুরটি থেকে যে পথে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যেত, সেই পথ সাহাবাগ গ্রামের পুকুরটি থেকে তোলা মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে, বর্ষায় পরিস্থিতি সঙ্গিন হয়ে উঠবে। অন্য দিকে, পাল্টা একই রকম অভিযোগ তুলেছেন সাহাবাগ গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।
ব্লক প্রশাসনের তরফে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশের পর এখন দুই গ্রামেরই বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান বার্ষিক পরিকল্পনায় প্রকল্প দু’টি ধরার সময় তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করলে এই সমস্যা হত না। দু’টি গ্রামকে বাঁচানোর মতো ভাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের অজিত রায় বাখরচক গ্রামেরই নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। তিনি বলেন, “মাটি ফেলা নিয়ে গোলমাল হয়েছে। এ জন্য ব্লক অফিসকে জানিয়েছি। ব্লক প্রশাসনই এ নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। |