ফেল করা ছাত্রীদের পাশ করানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল আগেই। সেই মতো কলেজ কর্তৃপক্ষও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রস্তাবও মানতে নারাজ অকৃতকার্য ছাত্রীরা। পরীক্ষা না দিয়েই পাশ করানোর দাবিতে কলেজের গেট আটকে ফের তাঁরা বিক্ষোভ দেখালেন। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এমনই চলল হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
যদিও বৃহস্পতিবার ঘটনার সূত্রপাতের দিন অকৃতকার্য ছাত্রীদের সমর্থনেই কথা বলতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা স্তরের কয়েক জন নেতাকে। কিন্তু এ দিন টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অনুপম ঘোষ বলেন, “দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেল করা পড়ুয়াদের পাশের দাবিতে যে আন্দোলন তা আমরা সমর্থন করব না। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরাও তা মেনে নিয়েছি।” |
পাশের দাবিতে গেট আটকে ফের ছাত্রীদের জুলুম সেই কলেজে। |
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্ত মতো শুক্রবার দুপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রীদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা রিনা সেনগুপ্ত বলেন, “সিদ্ধান্ত হয় সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে এ বারও অকৃতকার্য হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মানতে হবে বলে ছাত্রীদের অভিভাবকদের মুচলেকা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ছাত্রীরা তা মানেননি। বহিরাগত কিছু যুবককে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।”
এ দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কলেজের গেটের সামনে রাস্তায় বসে চলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ। ফলে কলেজের ভিতরে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীরা আটকে পড়েন। পরে পুলিশ এসে ছাত্রীদের গেট থেকে সরিয়ে দেয়। ছাত্রীদের তরফে অবশ্য এ দিন কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি। |