বনধের দিন কাজে না আসার ‘অপরাধে’ শুক্রবার কয়েক জন কর্মীকে অফিসে ঢুকতে বাধা দিল একদল তৃণমূলকর্মী। বালি পুরসভার ঘটনা। পুলিশ ও পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বালি পুরসভার কিছু কর্মী কাজে এলে গেটে তাঁদের আটকে দেন তৃণমূলকর্মীরা। তাঁরা জানান, বনধের দিন কাজে না আসার কারণে এ দিন তাঁদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। অভিযোগ, এর প্রতিবাদ করায় তিন-চার জন পুরকর্মীকে মারধরও করা হয়। বালি থানার পুলিশ এলে তৃণমূলকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান বলে জানায় পুলিশ। বালি পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের অরুণাভ লাহিড়ী জানান, ২০-২১ ফেব্রুয়ারি বনধের দিন পুরসভায় কম কর্মী আসেন। তিনি বলেন, “ধর্মঘট না করার অধিকার যেমন আছে, তেমনই ধর্মঘটের অধিকারও আছে। কেউ অফিসে না এলে তাঁকে পরে ঢুকতে না দেওয়া অন্যায়।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রেয়াজ আহমেদ বলেন, “বিষয়টি শুনেই দলীয় কর্মীদের বলেছি পুরকর্মীদের অফিসে ঢুকতে দিতে।”
|
ভাষা দিবসে শ্রীরামপুর পুরসভার ১২নং ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের করা হয়। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে কয়েকশো মানুষ তাতে সামিল হন। শহরের ধর্মকলা মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে সেখানেই শেষ হয় শোভাযাত্রা। অন্য দিকে, বৈদ্যবাটি মেলা কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে স্টেশন-সংলগ্ন রবীন্দ্রমূর্তির পাদদেশ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শেষ হয় বৈদ্যবাটি চৌমাথায়। সেখানে শহিদ স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যেরা। গান, পাঠ ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গ ল ক্লার্ক সংগঠনের আরামবাগ শাখার পক্ষে সর্ব স্তরে মাতৃভাষায় কাজ চালু করার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয় মহকুমাশাসকের কাছে। এ ছাড়াও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাষা দিবসে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে।
|
ওভারব্রিজ চালু হলেও সমস্যা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডানকুনি |
ডানকুনি রোড ওভারব্রিজ বৃহস্পতিবার খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতারাতি দু’পারের রাস্তা বন্ধ করে দিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। এর জেরে পথ চলতি মানুষ এবং পথচারীরা বিপাকে পড়েন। প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ ও তৃণমূল সমর্থকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপিও তাতে যোগ দেয়। রেল অবরোধের চেষ্টা হয়। ওভার ব্রিজ অবরোধের চেষ্টা করে বিজেপি। তৃণমূল সমর্থকেরা অবশ্য তাদের প্রতিহত করেন। দফায় দফায় অবরোধের জেরে এলাকা উত্তপ্ত হয়। শেষে পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কর্তৃপক্ষের আলোচনার আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে।
|
পুরনো একটি দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় আহত হলেন এক বৃদ্ধ। শুক্রবার, হাওড়ার কালীবাবুবাজারে। আহত নিধুসূদন পাল (৭২) একতলার একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, সংস্কারের অভাবে জীর্ণ বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়লে ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েন তিনি। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, শরিকি বিবাদে দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি বাড়িটি। বিপজ্জনক ওই বাড়ি পুরসভা ভেঙে না ফেলায় এই দুর্ঘটনা। পুরসভা অভিযোগ অস্বীকার করে। শরিকি গোলমালেই সেটি ভাঙা যায়নি বলে দাবি পুরসভার।
|
পারিবারিক অশান্তির সময়ে দুই ভাইকে চেলাকাঠ দিয়ে মেরেছিলেন দিদি। রেগে গিয়ে এক ভাই দিদির মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কয়েক ঘণ্টা পরে তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার, লিলুয়ার ঘটনা। মৃতার নাম সুচিত্রা রায় (৩০)। এ দিন সকালে তাঁর দুই ভাই বাপি ও প্রবীর মণ্ডলের মধ্যে সংসারে টাকা দেওয়া নিয়ে তুমুল ঝগড়া বাধে। দু’জনকে থামাতে সুচিত্রা চেলাকাঠ নিয়ে তাদের মারেন। তার পরেই তাঁকে আঘাত করে ছোটভাই প্রবীর। পুলিশ প্রবীরকে গ্রেফতার করেছে।
|
উত্তরপাড়ায় বেটিং-চক্র, ধৃত ২ |
চেন্নাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট চলাকালীন ক্রিকেট বেটিং-চক্রে জড়িত অভিযোগে শুক্রবার হিন্দমোটর থেকে দুই যুবককে ধরল পুলিশ। ধৃতদের নাম সঞ্জয় বাগরি এবং মনোজ দুগার। হিন্দমোটরেই বিনয়-বাদল-দীনেশ রোডের একটি আবাসনে থাকেন সঞ্জয়। পুলিশের দাবি, নিজের ফ্ল্যাটেই স্থানীয় যুবক মনোজের সঙ্গে শুক্রবার খেলা নিয়ে বেটিং চালাচ্ছিলেন তিনি। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ন’টি মোবাইল ফোন, দু’টি ক্যালকুলেটর এবং নগদ সাড়ে আট হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় তাদের কাছে কবুল করেছে, বেটিংয়ে কলকাতার গণেশ টকিজ, বড়বাজার, হাওড়া এবং মুজফ্ফরপুরের যোগাযোগ ছিল তাদের। হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ওই চক্রে আরও কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের কয়েকটি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।” এ দিন রাতে উত্তরপাড়া থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সীর নেতৃত্বে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ধৃত সঞ্জয় বি কম পাশ। তাঁর বাবা গৌরীশঙ্কর বাগরি বলেন, “আমার বয়স হয়ে গিয়েছে। কিছু করতে পারি না। সংসার চালানোর জন্য ছেলে অন্যায় করেছে।” |