বিক্ষিপ্ত ভাবে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু জমির আলু চাষে। সংশ্লিষ্ট চাষিদের আশঙ্কা, রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ায় আলু গাছ পচে গিয়ে ফলন কম হবে এবং আলুগুলি দাগযুক্ত হয়ে যাবে। ফলে, সে ভাবে দাম মিলবে না। আলু রক্ষার দাবিতে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্লক কৃষি আধিকারিকদের শরণাপন্ন হয়েছেন চাষিরা।
মহকুমা কৃষি আধিকারিক অশ্বিনী কুম্ভকার অবশ্য বলেন, “দিন দশেকের মধ্যেই খেত থেকে সব আলু উঠে যাওয়ার কথা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই আলু তুলে নিতে বলা হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা নেই। রোগ লেগে গেলে ওষুধে বিশেষ কাজ হবে না। বরং আলু তাড়াতাড়ি তুলে নিয়ে ধসা রোগের জীবাণু এখনই নষ্ট করে দেওয়া উচিত।”
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক জমিতেই আলু চাষে ধসা রোগ দেখা দেয়। জমিতে রাসায়নিক সার বেশি প্রয়োগ করা হলে ধসা রোগের জীবাণু অনুকূল পরিবেশ পায়। তা দ্রুত ছড়ায়। তখন ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। এই রোগে আলু গাছ পচে যায়। রোগগ্রস্ত গাছের আলুতে দাগ ধরে যায়। মহকুমার ছ’টি ব্লকের প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে এ বার প্রচুর আলু চাষ হয়েছে।
তার মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে ধসা রোগ ছড়িয়েছে গোঘাটের রতনপুর, বালির মাঠ, কাঁঠালি, খানাকুলের তাঁতিশাল, উদয়পুর, শ্রীরামপুর, ঠাকুরানিচক, পুড়শুড়ার পশ্চিমপাড়া, জঙ্গলপাড়া, রসুলপুর, আরামবাগের বাতানল, সালেপুর, গৌরহাটি, তিরোলের মতো কয়েকটি গ্রামের জমিতে। দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মধ্যে গোঘাটের কাঁঠালি গ্রামের প্রিয়রঞ্জন পাল বা ঠাকুরানি চকের অশোক ঘোষ বলেন, “ব্যাঙ্ক বা সমবায়ে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি। বিঘাপিছু খরচ হয়েছে ১৭-১৮ হাজার টাকা। এই অবস্থায় ধসা রোগে আলু প্রায় নষ্ট হতে বসেছে।” বিমার টাকা তাঁরা যেন পান, সেই জন্য কৃষি দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
পরিস্থিতি নিয়ে দুর্ভাবনায় দিন কাটছে চাষিদের। |