|
|
|
|
গয়ায় নিহত ৮ |
মাইন বিস্ফোরণে উড়ল পুলিশের গাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ছয় পুলিশ কর্মী-সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সকলেই বিহার পুলিশের কর্মী। আজ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ গয়ার রোশনগঞ্জের উছলা এবং ধামানিয়া গ্রামের মাঝে ঘটনাটি ঘটে। মগধ রেঞ্জের ডিআইজি এন এইচ খান বলেন, “ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের
মধ্যে ছ’জন পুলিশ কর্মী। মৃতদের মধ্যে গাড়ির চালক এবং এক গ্রামবাসীও আছেন। এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।”
আজ দুপুরে রোশনগঞ্জ থানার ছয় পুলিশ কর্মী জিপে করে বালাসোত গ্রাম থেকে ফিরছিলেন। পুলিশের সেই গাড়িতে ছিলেন এক গ্রামবাসীও। ওই দুই গ্রামের মাঝে কৈলি কার্লভাটের কাছে গাড়িটি আসা মাত্র বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিল যে আশপাশের গ্রামের মানুষও তা শুনতে পায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সকলের। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি শক্তিশালী হওয়ার কারণে জিপটি টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। আর মৃতদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে অনেক দূর পর্যন্ত। ঘটনার খবর পেয়ে সিআরপিএফ, এসটিএফ এবং রাজ্য পুলিশের বিশাল বাহিনী সেখানে পৌঁছয়। শুরু হয় অভিযান। পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে এএসআই প্রদ্যুম্ন রাই, গাড়ির চালক পবন কুমার এবং গ্রামবাসী রমেশ মিস্ত্রি আছেন। বাকিদের নাম রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। |
|
পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার করছেন স্থানীয়েরা। শুক্রবার। ছবি: এএফপি |
আজ সকালে বালাসোত গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। তা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে এই আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করেছিলেন। এ দিন দুপুরে পুলিশ কর্মীরা সেখান থেকে ফেরার পথেই বিস্ফোরণের মুখে পড়ে। পুলিশের ধারণা, পুলিশের গাড়িটি বালাসোত যাওয়ার পর ওই কালভার্টের নীচে মাইনটি রাখা হয়। অর্থাৎ মাওবাদীরা পুলিশের উপরে নিরন্তর নজর রেখেই বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, গয়া জেলার শেরঘাটি মহকুমা বরাবরই মাওবাদীদের শক্ত ঘাটি। এখানকার ৯টি ব্লকের মধ্যে ছ’টি মাওবাদী প্রভাবিত। বাকি তিনটি ব্লক আংশিক প্রভাবিত। যেখানে বিস্ফোরণটি ঘটেছে, সেই রোশনগঞ্জ এলাকাটি বাকেবাজার ব্লকের অর্ন্তগত। এই ব্লকটিতে মাওবাদীদের প্রভাব এতটাই যে দিনের বেলায়ও প্রশাসনের কর্মীরা অনেক ক্ষেত্রে কাজে বাধা পায়। মহকুমা শাসক সুধীর কুমার বলেন, “মাওবাদী প্রভাবিত হওয়ার ফলে প্রশাসনিক কাজ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে পুলিশ ফাঁড়ি খোলার ব্যবস্থা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য সরকারের তরফে বিভিন্ন চেষ্টা হচ্ছে।”
ডিআইজি বলেন, “মৃতদের জন্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ, সরকারি চাকরি সবরকম ব্যবস্থা করা হবে।” তবে নিহত গ্রামবাসীর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য কী করা হবে, তা নিয়ে সরকার আলাদা ভাবে ঠিক করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মহকুমাশাসক। |
|
|
|
|
|