|
|
|
|
হত বেড়ে ১৬ |
মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণে জখম আব্দুল প্রাণে বাঁচল এ বারেও |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছটফট করছেন ২৩ বছরের যুবক আব্দুল ওয়াইসি মার্জে। তাঁর পায়ের হাড় ভেঙেছে। পাঁজরেও গভীর ক্ষত। অস্ফুট স্বরে বার বার বলছেন, “আর নয়, দয়া করে আর এ রকম কোরো না।” জঙ্গিদের উদ্দেশেই হবে।
গত কাল দিলসুখনগর বাজারে বিস্ফোরণের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল। এবং বেঁচে ফেরা ভাগ্যবানও বটে। তবে এক বার নয়, ভাগ্য তাঁকে বাঁচিয়েছে দু’দু’বার। ছ’বছর আগে মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণেও মারাত্মক জখম হয়েছিলেন তিনি। সে বার ১৭ জন নিহত হয়েছিলেন বিস্ফোরণে। আব্দুলের ছেলেও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বললেন, “আশা করি ও এই যুদ্ধে জিতবে।”
আব্দুলের মতো ভাগ্য নয় বিজয় কুমারের। চাকরির চেষ্টা করছিলেন তিনি। সামনেই আবগারি দফতরে সাব-ইনস্পেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। তার জন্যই দিলসুখনগরে কাল বই কিনতে গিয়েছিলেন বিজয়। ফেরা হল না। |
|
হাসপাতালে আহত আব্দুল। শুক্রবার হায়দরাবাদে। ছবি: এএফপি |
একই পরিণতি হয়েছে আরও চার ছাত্রছাত্রী রাজাশেখর, হরিশ, আজাদ আহমেদ, স্বপ্না এবং ১১ জন হতভাগ্যের।
মৃতদেহগুলো ওসমানিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ। কাছের মানুষের নিথর দেহ ফেরত নেওয়ার অপেক্ষায় শ’য়ে শ’য়ে লোকের ভিড়। আহত অবস্থায় ভর্তি প্রায় ১২০ জন। কাল পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আজ হাসপাতালে আরও দু’জন মারা যান। তবে ওসমানিয়ার ডাক্তাররা জানিয়েই রেখেছেন, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ অনেকেই মারাত্মক জখম।
এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানালেন, “শরীরের মধ্যে ঢুকে রয়েছে লোহার টুকরো। নাটবল্টু, লোহার কুচি, কাচের টুকরো।” হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহত এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে আর এক ডাক্তার বললেন, “এই পেরেকটা ওঁর মেরুদণ্ডে আটকে ছিল। অস্ত্রোপচার করে বার করা হয়েছে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে আজ হাসপাতালে যান। বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহও নিহতদের পরিজনের সঙ্গে দেখা করেন। নিহতদের প্রত্যেককে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল অন্ধ্র সরকার। পরে জানানো হয়, গত কালের জঙ্গি হানায় যাঁরা পুরোপুরি পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরও ৬ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্য দেওয়া হবে।
তথ্য এবং জনসংযোগ মন্ত্রী ডি কে অরুণা বলেন, “এ ছাড়াও আহতদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।” |
|
|
|
|
|