বেসু-বিল দ্রুত সংসদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বেসু)-র মান উন্নয়ন বিলটি দ্রুত পাশ করাতে সম্মত হল সব সরকার ও বিরোধী দলগুলি। বেসুকে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি)-তে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রায় আড়াই বছর আগে। গত ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় মনমোহন সিংহের সরকার। এর পর নিয়ম মতো ওই বিলটির শিক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যাওয়ার কথা। এতে ওই বিলটি পাশ হতে আরও সময় লাগার কথা ছিল। কিন্তু আজ সংসদীয় মন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিরোধী দলের নেতা সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, বাসুদেব আচারিয়া, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বৈঠকে কমলনাথ ১৬টি বিল নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে ছিল বেসু সংক্রান্ত বিলটিও। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই বিলটির সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মত দেন সকলে। তাই ঠিক হয়েছে, সরকার সরাসরি ওই বিলটি সংসদে নিয়ে আসবে। আশা করছি আসন্ন অধিবেশনেই ওই বিলটি পাশ হয়ে যাবে।” ওই বিলটি পাশ হলে বেসুকে ‘আইআইইএসটি শিবপুর’ রূপান্তরিত করবে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। এর ফলে জাতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের। একই ছাতার তলায় চলবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা এবং বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় গবেষণা। বাড়বে পড়ুয়ার সংখ্যাও। বেসুর মান উন্নয়নে মোট ৫৯২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
|
স্থগিতাদেশ খারিজ, জট কাটল শিক্ষক নিয়োগে |
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সাময়িক ভাবে জট কাটল। টেট-এর প্রশ্নপত্র নিয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) আপিল করে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষার বিষয়ে মামলা না-শুনেই হাইকোর্ট এ ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। একটি স্বশাসিত সংস্থা পরীক্ষা নিয়েছে। তাই এ ভাবে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া যায় না। ডিভিশন বেঞ্চ দু’পক্ষের সওয়াল শুনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিচারপতি করগুপ্তের এজলাসেই টেট-এর প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে মামলাটির শুনানি হবে। ওই মামলার রায় এসএসসি-র বিরুদ্ধে গেলে নিয়োগ নিয়ে ফের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
|
নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগে রাজ্যের পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিল নির্বাচন কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, বিধিভঙ্গের অভিযোগে কেন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আজ, শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে মন্ত্রীকে। ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মালদহ গিয়েছিলেন মদনবাবু। মালদহ টাউন হলে এলাকার ক্লাবকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। এই নিয়ে কমিশনের পর্যবেক্ষকের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানায় সিপিএম। বিরোধী দলের অভিযোগ, প্রতি বছর ক্লাবগুলিকে অনুদান হিসেবে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে মদনবাবু ওই বৈঠকে আশ্বাস দেন। পর্যবেক্ষক প্রাথমিক তদন্তের পরে বিষয়টি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে জানান। কমিশন বৃহস্পতিবার মদনবাবুকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত বলেন, “কমিশনের চিঠি মদনবাবুর কাছে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার বেলা ৫টার মধ্যে তাঁকে নোটিসের জবাব বলা হয়েছে।”
|
এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা কেন যথাযথ চিকিৎসা না-করে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে তা জানতে চাইলেন সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে জানান, ২০১২ সালে বিধানসভায় তাঁর উপরে হামলা হয়। তিনি মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হন। কিন্তু তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। পরে তিনি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে স্ক্যান রিপোর্টে জানা যায়, তাঁর মাথার হাড় ভেঙেছে। এসএসকেএমে কেন তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হল না, তা জানতে চেয়েছেন ওই বিধায়ক। তিনি জানান, হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। হামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্পিকার কেন ব্যবস্থা নেননি, তা-ও জানতে চান গৌরাঙ্গবাবু।
|
পশ্চিমবঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ আর ২০ বছরে শেষ হবে না। এর পর থেকে কারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে তাকে বাকি জীবনের পুরোটাই কারাগারে কাটাতে হবে। সেই জন্য ১৯৯২-এর পশ্চিমবঙ্গ কারা আইনের সংশোধন করতে চেয়ে আজ, শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে। আইনে এখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে ২০ বছর জেলে রাখার কথা বলা আছে। |