ব্যারাকপুরে বহু চটকলেই কাজ হল না
বৃহস্পতিবার, শিল্প ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও ব্যারাকপুর শিল্পতালুকে দেখা গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কার্যত অচল থাকল শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ চটকল। যে কারখানাগুলিতে সিটুর সংগঠন এখনও সক্রিয়, সেখানে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। শিল্পাঞ্চলের দুই প্রান্তে কামারহাটি চটকল ও হালিশহরের হুকুমচাঁদ চটকলে গত দু’দিন ধরে ভিন্ন চিত্র।
হুকুমচাঁদ চটকল বন্ধ রইল দু’দিনই। অন্য দিকে, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের বিধানসভা এলাকা কামারহাটিতে কামারহাটি চটকল খোলা থেকেছে। মদনবাবু এ দিনও বলেন, ‘‘কলকারখানা সবই খোলা। আমার এলাকায় চটকলও খোলা ছিল। কর্মীরা কাজ করেছেন। হাজিরা স্বাভাবিক ছিল।’’ তবে, চটকল মালিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, কারখানা খোলা রাখলেও উৎপাদন হয়নি। আর উৎপাদন বন্ধ থাকায় কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। হুগলি ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারাল প্রাইভেট লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সমীরকুমার চন্দ্র বলেন, ‘‘আমাদের চটকল একদিন বন্ধ থাকা মানে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতি।’’ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে চালু চটকলের সংখ্যা ২১। তবে, অন্য কারখানাগুলিতে শ্রমিকদের হাজিরা অন্য দিনের তুলনায় কিছু কম। তবে, কারখানার অফিসগুলিতে ও সরকারি দফতরে এ দিন স্বাভাবিক হাজিরা ছিল বলেই জানিয়েছেন ব্যারাকপুর ও কল্যাণী মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা। ব্যারাকপুর ও কল্যাণী এই দুই শিল্পাঞ্চলে ছোট-বড় সব মিলিয়ে কারখানার সংখ্যা পাঁচশোর কাছাকাছি। রাজ্যে পালাবদলের পরে অধিকাংশ কারখানাতেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন সক্রিয়। কিন্তু সিটু তাদের সংগঠনকে এখনও যে ধরে রেখেছে তার প্রমাণ এই ধর্মঘটের প্রভাব কারখানাগুলিতে পড়েছে, এমনটাই দাবি স্থানীয় সিটু নেতাদের। শিল্পাঞ্চলের সিটু নেতা তথা প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক রঞ্জিত কুণ্ডু বলেন, ‘‘শিল্প ধর্মঘট এই শিল্পাঞ্চলে সফল। অন্য কারখানা কিছু খোলা থাকলেও কোনও চটকল খোলা ছিল না।’’



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.