বিপক্ষে যখন অস্ট্রেলিয়া, তখন তো সেই টেস্ট ‘স্পেশাল’ বটেই। কিন্তু শুক্রবার যখন চিপকের ঘাসে পা রাখবেন হরভজন সিংহ, তখন তা হয়ে উঠবে আরও বেশি স্মরণীয়। কারণ, এটি তাঁর শততম টেস্ট। একেই অস্ট্রেলিয়া তার ওপর শততম টেস্ট। সবচেয়ে স্মরণীয় বললেও বোধহয় ভুল হবে না। |
একশো টেস্ট ক্লাবের দশম ভারতীয়। যাঁর নাম এ বার থেকে লেখা হবে গাওস্কর, সচিন, লক্ষ্মণ, দ্রাবিড়, কুম্বলেদের পাশে, সেই হরভজন বৃহস্পতিবার যখন বলছিলেন, “আমার কাছে এটা বিশাল ব্যাপার”, তখন বেশ উত্তেজিত তিনি। বললেন, “আজ মনে পড়ছে আমার প্রথম টেস্টের কথা। সে দিন আমার ক্যাপ্টেন ছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তখন আমার বয়স মাত্র ১৭। চারদিকে বড় বড় ক্রিকেট তারকাদের দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। তেন্ডুলকর, শ্রীনাথ, কুম্বলেরা তখন আমার হিরো। এদের সঙ্গে খেলতে পারাটা ছিল স্বপ্নের মতো।” কিন্তু এত দিন ধরে দেশের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন, তা কখনও ভাবতে পারেননি। বলেন, “দেশের হয়ে ১০০টা টেস্ট খেলব, তা সত্যিই কোনও দিন ভাবতে পারিনি। এ জন্য আমার সিনিয়রদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ ঈশ্বরকেও। এই কয়েক বছরে ওরা আমাকে যে ভাবে সাহায্য করেছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এই ম্যাচটা আমি যতটা পারি উপভোগ করব। এই টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।” |
২০০১-এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন। সেটাই তাঁর সেরা সিরিজ। হরভজন বললেন, “এমন সিরিজে সারা জীবনে এক বারই আসে। তাই ওটা ভোলা যাবে না। যদি আর একবার এমন সময় আসে, তা হলে তো কোনও কথাই নেই।” অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে এমন পারফরম্যান্স ছাড়াও মাঠের বাইরেও তাঁর সঙ্গে অস্ট্রেলীয়দের সম্পর্কের পারদ কোথায় চড়েছিল, তা এখন সারা ক্রিকেট দুনিয়ারই জানা। সেই অজিদের বিরুদ্ধেই শততম টেস্ট। এই প্রসঙ্গে ভাজ্জি বললেন, “জানি না অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমার কোনও বিশেষ রসায়ন রয়েছে কি না। তবে ক্রিকেটের গ্রেটদের পাশে নিজের নাম লিখতে পারায় আমি খুবই খুশি।” দীর্ঘদিন পর ভারতীয় দলে তাঁর ফেরা নিয়ে তারকা অফ স্পিনার বলেন, “দলে ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। সে জন্য যতটা পেরেছি খেটেছি। নিজেকে তৈরি রেখেছি, যাতে যখনই আমাকে ডাকা হয়, তখন কোনও সমস্যায় না পড়ি। ফিরতে পারাটা আমার কাছে বড় ব্যাপার বই কি।” |