ব্যাঙ্ক বন্ধ, পুলিশে নালিশ |
ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় পুলিশের কাছে গণ-অভিযোগ জমা পড়ল। মেদিনীপুর কোতয়ালি থানাতেই দশ জন গ্রাহক লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলার আরও কয়েকটি থানায় এমন অভিযোগ এসেছে। কোতয়ালি থানায় অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ আকবর খান, নিশীথ সিংহ মহাপাত্র, মানস রায়। আকবরের বক্তব্য, “আমার এটিএম কার্ডটি নষ্ট হয়েছে। নতুন কার্ড না পেয়ে সমস্যায় পড়েছি।” নিশীথ তাঁর অভিযোগপত্রে লিখেছেন, “বিশেষ প্রয়োজনে বুধবার ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি, ব্যাঙ্কের গেটে তালা ঝুলছে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” এ ক্ষেত্রে ঠিক কী করা হবে? মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশীর জবাব, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের আওতায় ব্যাঙ্কও ছিল। সেই মতো বুধ ও বৃহস্পতিবারও জেলার ব্যাঙ্কগুলি খোলেনি। মেদিনীপুরের কয়েকটি এটিএম অবশ্য খোলা ছিল। বুধবার মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তের হস্তক্ষেপে কয়েকটি এটিএম খোলা হয়েছিল। মহকুমাশাসকের বক্তব্য ছিল, এ ভাবে বিনা নোটিসে পরিষেবা বন্ধ রাখা যায় না। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় যাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাঁদের বক্তব্য, এমন পরিষেবাকে ধর্মঘটের আওতা থেকে বাদ রাখা উচিত।
|
ধানবাদে বাস উল্টে জখম ৭৪ পড়ুয়া |
শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে দুর্ঘটনায় জখম হলেন ৭৪ জন ছাত্রছাত্রী-সহ ৮৪ জন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিন জন ছাত্রকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে ধানবাদের গোবিন্দপুর থানা এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার রামপুরা দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীরা গত রবিবার ওই বাসটিতে করে শিক্ষামূলক ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন। বাসটিতে ৭৪ জন ছাত্রছাত্রী-সহ মোট ৮৪ জন ছিলেন। বুদ্ধগয়া, নালন্দা হয়ে মাইথনের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, চালক মদ্যপ ছিলেন। তিনি মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাস চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান। আহত ৭৪ জন ছাত্রছাত্রীকে ধানবাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে সূর্যকান্ত মাইতি, বিশ্বজিৎ শীঠ, মুসলেম খানকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পিংলার ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শঙ্কর দাস জানান, “দুর্ঘটনার সময় আমরা সকলে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকলেই কমবেশি আহত হয়েছেন।” চালক ও খালাসি পলাতক।
|
রান্নাঘরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ স্কুলে |
এক টানা কাজ দিতে হবে, এই দাবিতে স্কুলের রান্নাঘরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাল স্বসহায়ক দলের সদস্যরা। এর ফলে দু’দিন মিড ডে মিল রান্না বন্ধ রইল খড়্গপুর-২ ব্লকের পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিশিউলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
একাধিক স্বসহায়ক দলকে ওই স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কোন দল কোন সময় রান্না করবে তাও ঠিক ছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত না মেনে মা শীতলা স্বসহায়ক দল নিজেরাই প্রতিদিন রান্নার দাবিতে রান্নাঘরে তালা দিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে তালা ভেঙে রান্নার কাজ শুরু করা হয়। তখনও বিক্ষোভ দেখায় ওই স্বসহায়ক দলের সদস্যরা। রান্না চলাকালীনই অন্য দলের সদস্যদের বের করে রান্নাঘর ও স্কুলের প্রধান গেটেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। খড়্গপুর লোকাল থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস নিজে গিয়ে তালা খুলে রান্নার ব্যবস্থা করেন। খড়্গপুর ২-এর বিডিও সোমা দাস বলেন “এ ভাবে কেউ রান্না বন্ধ করতে পারেন না। কারও কোনও দাবি থাকলে আলোচনা করতে পারেন।” এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানান বিডিও। |