জানাতে হবে দূষণের মাত্রা, পর্ষদকে হাইকোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণের মাত্রা জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দু’টি রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বায়ুদূষণ সংক্রান্ত এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এ দিন পর্ষদের পক্ষ থেকে রিপোর্ট পেশ করা হয়। পর্ষদ জানায়, গত এক বছরে ১০৯৭টি গাড়ি পরীক্ষা হয়েছে ও ধোঁয়া পরীক্ষার ছাড়পত্র নেই এমন কিছু গাড়ি মিলেছে। ওই মামলাটি যিনি করেছেন সেই পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত আদালতকে জানান, যে শহরে ১৫ লক্ষেরও বেশি গাড়ি চলে, সেখানে এক বছরে মাত্র হাজারখানেক গাড়ির দূষণ পরীক্ষা পর্ষদের অপদার্থতারই প্রমাণ। সুভাষবাবু বিচারপতিদের জানান, আগে শহরে দূষণ পরিমাপের ১৭টি যন্ত্র থাকত। এখন দু’টি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র কাজ করছে। পুলিশের কাছে একটি ভ্রাম্যমাণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষার যন্ত্র ছিল। ওই ধরনের আরও ৩টি যন্ত্র কেনার নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। তা কেনা হয়নি, আগের যন্ত্রটিও বিকল। গাড়িতে বৈদ্যুতিক হর্ন বন্ধের যে নির্দেশ হাইকোর্ট দেয় তা-ও কার্যকর করেনি পর্ষদ। গত দেড় বছর নিষিদ্ধ হর্ন বাজেয়াপ্ত করার অভিযানও বন্ধ।
|
পাখির মৃত্যু, চাঞ্চল্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
নির্দিষ্ট গাছে বসলেই মারা যাচ্ছে পাখি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নয়াগ্রাম ব্লকের আড়রা অঞ্চলের কুণ্ডলবনিতে। গ্রামের দু’টি শিমুল গাছে ফুলের মধু খেতে আসছে পাখিরা। গ্রামবাসীর দাবি, ওই দু’টি গাছে যে সব পাখি বসছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ডানা ঝাপটে মাটিতে পড়ে মারা যাচ্ছে। নয়াগ্রামের বিডিও তাপস ভট্টাচার্য বলেন, “ব্লকের সরকারি প্রাণী চিকিৎসক প্রহ্লাদ কুণ্ডু এ দিন কুণ্ডলবনি গিয়েছিলেন। ওই দু’টি গাছের আশপাশে ২৯টি পাখিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। মৃত পাখির নমুনা ঝাড়গ্রামের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের রোগ নির্ণয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।” মৃত পাখিগুলির মধ্যে রয়েছে বুলবুলি, টুনটুনি ও শালিক। এ দিন বন কর্মীরা ওই দু’টি শিমুল গাছের সব ফুল পেড়ে ফেলেন। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ, বিষক্রিয়ায় পাখিগুলির মৃত্যু হয়েছে। নিশ্চিত হতে শিমুল ফুলের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হচ্ছে। বাকি ফুলগুলি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।” পাখি ধরার জন্য দু’টি গাছের ফুলে কেউ বিষপ্রয়োগ করে থাকতে পারে বলে সন্দেহ কিছু গ্রামবাসীর। কিন্তু এর নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। ডিএফও বলেন, “রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের ওই দু’টি গাছের আশেপাশে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।”
|
ঝোপ সাফের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
ইসলামপুর কলেজের শিক্ষাকর্মীদের ঘরে টেবিলের তলায় ঠাঁই গেড়েছিল গোখরো সাপ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। খবর পেয়ে বন দফরেরর কর্মীরা সেই ঘর থেকে সাপটি ধরেন। পরে কলেজের পাশের জঙ্গল থেকে আরও একটি গোখরো ধরা হয়। উদ্ধার হয় সাপের ১০টি ডিম। বন দফতর জানিয়েছে, ওই সাপ দু’টি পূর্ণবয়স্ক। লম্বায় প্রায় ৮ ফুট। ইসলামপুর বন দফতরের এক আধিকারিক প্রদীপ কুমার চৌধুরী জানান, সাপ দু’টিকে গভীর জঙ্গলে ছাড়া হবে। সেখানে ডিমও রেখে দেওয়া হবে। কলেজের শিক্ষাকর্মী জয় বিকাশ বিশ্বাস বলেন, “বুধবারও একটি সাপ দেখতে পেয়েছিলাম। তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফের ঘরে সাপ ঢুকে পড়ায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।” এ দিন ইসলামপুর কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কলেজ লাগোয়া এলাকার জঞ্জাল সাফাইয়ের দাবি করেছেন।
|
খনিমুখে গবাদি পশু, বিক্ষোভ রানিগঞ্জে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
পরিত্যক্ত খনিমুখে গবাদি পশু পড়ে যাওয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন রানিগঞ্জের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার এলাকার মহাবীর কোলিয়ারির পরিত্যক্ত এক নম্বর পিটের ঘটনা। খবর চাউর হতেই বাসিন্দারা ইসিএলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা কাটার পরে খনিমুখ ঢাকার যথাযথ ব্যবস্থা না করাতেই এই বিপত্তি। অবিলম্বে খনিমুখ ভরাটের দাবি জানান তাঁরা। কুনস্তরিয়া এরিয়ার জিএম অখিলেশ পাণ্ডে জানান, দ্রুত ব্যবস্থা হবে।
|
উদ্ধার ভালুকছানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বিক্রির জন্য আনা ভালুকছানা উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে নগাঁও জেলার চামাগুড়িতে। পুলিশ জানায়, আজ এক ব্যক্তি বাজারে এশিয় কালো ভালুকের একটি শাবককে বিক্রি করার জন্য এনেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ও বনবিভাগ শাবকটিকে উদ্ধার করে। বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজিরাঙা থেকে ভালুক শাবকটিকে আনা হয়েছিল। আপাতত তাকে কাজিরাঙা পশু উদ্ধার কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
|
মায়ের সঙ্গে
বৃহস্পতিবার বুদাপেস্টের চিড়িয়াখানায়। ছবি: এএফপি। |
|