মন্দারমণির হোটেল নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে ৩ মাসে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্রীয় সরকারের উপকূল বিষয়ক আইন অনুযায়ী মন্দারমণির হোটেলগুলির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে।
ছ’বছর আগে রাজ্য সরকারের দূষণ সংক্রান্ত আপিলেট অথরিটি মন্দারমণির সমুদ্রতীরবর্তী আটটি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময়েই বেশ কয়েকটি হোটেল সংস্থা আপিলেট অথরিটির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে। সেই মামলার ভিত্তিতেই হাইকোর্ট এ দিন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে মন্দারমণির সমুদ্রতীরবর্তী হোটেলগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে, আগামী তিন মাসের মধ্যেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। অ্যাপিলেট অথরিটি যখন মন্দারমণির হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল, সেই সময়ে সমুদ্রের ধারে আটটি হোটেল ছিল। গত কয়েক বছরে হোটেলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৭।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইনজীবী নয়ন বিয়ানি এ দিন আদালতে জানান, কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও সমুদ্র উপকূলের সুরক্ষায় এবং সেখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলাদা একটি কমিটি গড়া হয়েছে। উপকূল থেকে কতটা দূরে হোটেল নির্মাণ করা যাবে, কেন্দ্রীয় আইনেই তা বলা আছে। সেই আইন মেনে যাতে কাজ হয়, তা দেখার জন্যই প্রতিটি রাজ্যকে এই বিষয়ে আলাদা কমিটি গঠন করতে বলা হয়। ওই কমিটিই কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেক উপকূল সুরক্ষার বিষয়ে যাবতীয় সুপারিশ করবে। আর ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র। রাজ্য স্তরের কমিটি উপকূল বিষয়ক আইন অনুযায়ী কোথাও কোনও ব্যবস্থা নিলে তা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাতে হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাজ্য স্তরের কমিটিই যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে। কেন্দ্রের উপকূল বিষয়ক আইন অনুযায়ী মন্দারমণির হোটেলের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, ওই কমিটিই সব দিক বিচার-বিবেচনা করে সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করবে। সেই সুপারিশ খতিয়ে দেখে রাজ্যকে চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে কেন্দ্র।
|