এক ধাক্কায় ৩১৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। গত বছর মে মাসের পর আর এত বড় পতন দেখেনি বাজার। এ দিন ডলার পিছু টাকার দামও পড়ে গিয়েছে ৪০ পয়সা। দিনের শেষে এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৫৪.৪৭ টাকায়। শেয়ার ও টাকার পতনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ দিন পড়ে গিয়েছে সোনার দামও। দিল্লিতে গত ৭ মাসে প্রথম বার তা নেমেছে ৩০ হাজারের নীচে।
বাজার সূত্রে খবর, এশিয়া-সহ বিশ্বের প্রায় সব শেয়ার সূচকের পড়ার খবরই এ দিন ঠেলে নামায় ভারতের বাজারকে। বস্তুত, বুধবারই জানা যায় যে, আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ জানুয়ারির বৈঠকে মন্দার সময় চালু করা কিছু ত্রাণ প্রকল্প গুটিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। অনেকে মনে করছেন, এত দিন নগদের জোগান বাড়াতে ফেড রিজার্ভ বাজার থেকে বন্ড কেনার যে প্রক্রিয়া জারি রেখেছিল, তা ক্রমশ ঢিমে করে আনছে তারা। বাজারের আশঙ্কা এর ফলে চাহিদায় ফের টান পড়তে পারে মার্কিন তথা বিশ্ব অর্থনীতিতে। এ দিন মূলত এই আশঙ্কাতেই নেমেছে বিশ্বের বিভিন্ন শেয়ার বাজার। আমেরিকার ডাও জোন্স সূচক পড়েছে ০.৮%। ন্যাসড্যাক পড়েছে ১.৫৫%। একই ভাবে হংকং, সিঙ্গাপুর, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং জাপানের শেয়ার সূচকগুলিও পড়েছে ০.৪৭%-২.৯৭%। পতন দেখা দিয়েছে ইউরোপের শেয়ার বাজারেও। যার প্রভাব দেখা গিয়েছে ভারতেও। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই ধারণা, পড়তি বাজারে এ বার শেয়ার কেনার চাহিদা বাড়তে পারে। তবে বাজেটের আগে বাজারে স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা কম, মনে করছেন তাঁরা।
এ দিকে, শেয়ার বাজারে হওয়া লোকসান মেটাতে লগ্নিকারীদের একাংশ সোনা বিক্রির পথে হাঁটার ফলেই ধাতুটির দাম এ দিন এতটা পড়েছে বলে মনে করছেন বাজারমহলের একাংশ। আর একটি কারণ, বিয়ের মরসুম শেষ হওয়ার দরুন দেশীয় বাজারে সোনার চাহিদা কমে যাওয়া। পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে ডলারে টাকার দাম পড়ে যাওয়াও। কলকাতায় ধর্মঘটের জন্য গত বুধবার সোনার বাজার বন্ধ ছিল। তাই শেষ লেনদেন হয়েছে গত মঙ্গলবার। সে দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার প্রতি ১০ গ্রাম পাকা সোনার দাম ৫৪৫ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯,৭২০ টাকা। দিল্লিতে পড়েছে ৪৮০ টাকা। রুপোর দামও পড়েছে অনেকটা। কলকাতায় গত মঙ্গলবারের তুলনায় প্রতি কেজি রুপোর বাট ২২০০ টাকা কমে হয়েছে ৫৩,৮০০। |