এ যেন টলিউড উড়ে এসেছে নলহাটিতে! তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব ওঝার সমর্থনে প্রচারের গোড়ায় এসে সভা করে গিয়েছিলেন টলিউডের নায়িকা শতাব্দী রায়। আর প্রচারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার নলহাটি দেখল সদ্য দলে যোগ দেওয়া লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। হুড খোলা গাড়িতে তিনি ঘুরলেন। কয়েক দিন আগেই এখানে ঘুরে গিয়েছেন তৃণমূলের দুই স্টার বিধায়ক চিরঞ্জিৎ ও দেবশ্রী রায়। উৎফুল্ল বিপ্লববাবু বলছেন, “টালিগঞ্জের অনেক নায়ক-নায়িকা তো আমাদের দলের সাংসদ, বিধায়ক। তাঁরা তো প্রচারে আসবেন।” আর লকেট বলছেন, “বুধবারই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নির্দেশে নলহাটিতে বিপ্লবদার প্রচারে চলে এলাম।”
|
ফব-র প্রার্থী দীপক চট্টোপাধ্যায় এ দিন সাত সকালেই অ্যাম্বাসাডর নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন গ্রামে গ্রামে। পাইকপাড়া, কয়থা ১, বাউটিয়া, কুরুমগ্রাম ও বড়লা পঞ্চায়েতে দিনভর ঘুরে নলহাটিতে দলের অফিসে ফিরলেন সাঁঝের বেলায়। শহরে যে প্রচারই করলেন না? তাঁর জবাব, “শহরে তো আগে অনেক সভা করেছি। শেষ দিনটা তাই গ্রামেই সময় দিলাম।” রাজনীতির কারবারিরা অবশ্য বলছেন, নলহাটি শহরটা বামবিরোধীই। বামেরা তাই গ্রামেই নজর দিয়েছে।
|
দুম... দুম... দুম ড্রাম বাজাচ্ছেন কয়েকজন। পিছনে বিজেপি কর্মীদের মিছিল। শেষে একটি সাউন্ডবক্সে দলের প্রার্থী সমর্থনে প্রচার করা হচ্ছিল। এ ভাবেই বৃহস্পতিবার নলহাটির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শেষ প্রচার সারলেন বিজেপি-র প্রার্থী অনিল সিংহ। সাংবাদিকদের দেখতে পেয়ে কাছে ডেকে নিলেন। বললেন, “দেখতেই পাচ্ছ, মোটে দু’টি ড্রাম বাজাচ্ছি। আমরা শব্দবিধি ভাঙিনি।”
|
হ্যান্ডমাইক নিয়েই পথে-প্রচারে নেমে পড়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুর রহমান। তাঁর সমর্থনে গলা ফাটালেন দলের কর্মীরা। নলাটেশ্বরী মন্দির থেকে রামন্দির পর্যন্ত তাঁরা পদযাত্রা করলেন। শেষ বেলায় প্রার্থী ঢুকে পড়লেন নলহাটি শহরের ১১, ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারটা ঝালিয়ে নিলেন।
|