ওরা পাঁচ জন। সাহিল সরকার, দেবজ্যোতি দত্ত, বিরাজ গোস্বামী, সিদ্ধার্থ পাখরিন এবং সংকেত চক্রবর্তী। শিলিগুড়ি দিল্লি পাবলিক স্কুলের এই পাঁচ ছাত্রের মধ্যে একটি মিল রয়েছে। ওরা ওয়েস্টার্ন মিউজিক বা পাশ্চাত্য সংগীতের অন্ধ ভক্ত ই শুধু নয়, পাপারোজ, ল্যাম্ব অব গড কিংবা মেগাডেথ-এর ছাঁচে নিজেদের গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিল। সংগীতের এই যোগসূত্র জন্ম দিল একটি ব্যান্ডের। প্রতিভার ঝলক দেখাবে বলে চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নয়। ড্রামার সংকেত চক্রবর্তীই হোক বা লিড গিটারিস্ট সাহিল থেকে সিঙ্গার সিদ্ধার্থ অথবা রিদম গিটারিস্ট দেবজ্যোতি বা বেস গিটারিস্ট বিরাজপ্রত্যেকের শিক্ষার্থী হিসাবে স্ব স্ব ক্ষেত্রে দীর্ঘ অনুশীলনের ছাপ রয়েছে। |
রক ব্যান্ডের এই দলের কাছে ভাষা নয়, প্যাশনটাই জরুরি। ভিডিও গেমস বা ফেস বুক-এ পড়ে না থেকে ওরা মা-বাবাকে সঙ্গী করে গানের টানে ছুটে যায় বেঙ্গালুরু বা মুম্বই পশ্চিমের বিখ্যাত ব্যান্ডগুলির লাইভ অনুষ্ঠান দেখতে। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানেই ওদের উপস্থিতি আবশ্যক হয়ে উঠেছে। পড়াশোনার চাপ সামলে ফি রবিবার মহড়ায় বসতে ওদের ভুল হয় না। শিলিগুড়িতে পুষ্প প্রদর্শনীতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ওরা পেল প্রথম পুরস্কার। শিগগির ওরা নিজেদের কথায় ও সুরে পাঁচটি গানের সংকলন সাজিয়ে সিডি প্রকাশ করতে চলেছে। বলতে ভুলে গেছি, দলের খুব সুন্দর নাম রেখেছে ওরা অ্যাবাডান্ড মেমোরিজ বা পরিত্যক্ত স্মৃতি।
|
সর্বশিক্ষা অভিযানে সরস্বতী |
রকেটের প্রতীক পেনসিল। তার এক প্রান্তে বসে আছে একটি ছেলে। অন্য প্রান্তে বই হাতে একটি মেয়ে। সেই রকেটের যাত্রী মা সরস্বতী স্বয়ং। বিদ্যার দেবী যেখানে উপস্থিত, সেখানে বই-খাতা থাকবে না, তা কী হয়? দেবীর সামনে আলপনায় তাই সহজ পাঠের কিছুটা অংশ। সঙ্গে বিরাট ক্যানভাস জুড়ে বর্ণপরিচয়, যোগ বিয়োগ গুণ ভাগের অঙ্ক। ছবি দিয়ে ইংরেজি শব্দ শেখা, এমনকী মনীষীদের ছবিও। রয়েছে নির্মল বিদ্যালয় অভিযান এবং জলপাইগুড়ি জেলায় চালু হওয়া ছ’টি কস্তুরবা গাঁধী বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যানারও। সরস্বতী পুজোর এমন তাকলাগানো আয়োজন শহরের কোনও ঝাঁ চকচকে বিদ্যালয়ে নয়, জলপাইগুড়ি শহর থেকে প্রায় পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার দূরে মাল ব্লকের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। বেশির ভাগ এলাকাবাসী সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ। |
চাকুরিজীবীর সংখ্যা হাতো গোনা যায়। এই এলাকাতেই রাজাডাঙ্গা পি এম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সরস্বতী পুজোর থিম সর্বশিক্ষা মিশন দেখা গেল সেখানেই। পুজো কমিটির সম্পাদক অঞ্জন দাস বলেন, পুজোর সমস্ত কাজকর্ম এবং মণ্ডপসজ্জা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই সব করেছে। এই থিমের মাধ্যমে আমরা ছাত্রছাত্রী-সহ সব মানুষকেই শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি, ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে আমরা কারওর থেকে পিছিয়ে নেই। আমরাও পারি।
|
এই বিভাগে লেখা-ছবি পাঠালে নাম ও নিজের ঠিকানা উল্লেখ করবেন। |
|