রাস্তার হাল মোটেও আরামদায়ক নয়। সভা-সমাবেশে হামেশাই সে কথা বলেনও তাঁরা। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু তবু ভরসা রাখছেন সড়কেই! তিনটে জাতীয় সড়ক ধরে তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন সত্তরোর্ধ্ব নেতা। গত শনিবারই যেমন কলকাতা থেকে গাড়ি চেপে গিয়েছিলেন রেজিনগরে। মুর্শিদাবাদেই রাত্রিবাস। রবিবার মালদহে গিয়ে সিপিএম প্রার্থীর হয়ে পদযাত্রা। রাত্রিবাস। আবার সোমবার সকালে উঠে নলহাটিতে অশোক ঘোষ, মঞ্জুকুমার মজুমদারদের সঙ্গে একমঞ্চে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর হয়ে প্রচারে। সেই জেলাতেই রাতটা কাটিয়ে পর দিন কলকাতা। তিনি নিজে না ছুটলে কর্মীরা দৌড়বেন কেন? বলে থাকেন বিমানবাবু। দৌড়ের ধকল অবশ্য টের পাচ্ছেন বিমানবাবুর চালক!
|
তৈরি ছিল কংগ্রেস। কিন্তু বাধ সাধলো পুলিশ। গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে বিতর্কের মুখে পড়া রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নলহাটিতে রোড শো করতে আসছেন শুনেই জেলা কংগ্রেস প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয়। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মন্ত্রীকে ‘গো ব্যাক ফিরহাদ’ বলবেন বলে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। মুরারই থানার রুদ্রনগরে সভার কাছে প্রতীক্ষায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হঠিয়ে দেয় ওই কংগ্রেসকর্মীদের।
|
সোমবার সাঁঝবেলা। স্থান রেজিনগরের আন্দুলবেরিয়া হাটতলা। মঞ্চে উপস্থিত উত্তর কলকাতার সাংসদ তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মাইক্রোফোন হাতে নিয়েই বললেন, “কাল ছিলাম অস্ট্রেলিয়ায়। দীর্ঘ বিমান যাত্রার ধকল সামলাতে না সামলাতে নেত্রীর নির্দেশে রেজিনগরে। আপনাদের মাঝে। মঙ্গলবার আবার যাব দিল্লি।” শুনেই পাশ থেকে জনতার ফিসফাস, ‘কী ব্যস্ত নেতা রে বাবা’। |