উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা
সংখ্যালঘু এলাকার জন্য প্রকল্প ৬ কোটির
ত আর্থিক বছরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিল সরকার। এ বার প্রায় দ্বিগুণ অর্থ চেয়ে প্রস্তাব পাঠাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের দাবি, গত বছরের প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। যেটুকু বাকি রয়েছে তা মার্চ মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তাই পরের আর্থিক বছরের টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জেলা সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “গত আর্থিক বছরের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন আর্থিক বছরে যাতে বেশি অর্থ পাওয়া যায় সে জন্য প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চারটি ব্লককে সংখ্যালঘু ব্লক হিসাবে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেগুলি হল, মেদিনীপুর সদর, কেশপুর, গড়বেতা ১ ও ৩ ব্লক। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও ব্লকের এক-একটি মৌজাও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হতে পারে। মৌজায় ২৫ শতাংশ বা তার বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসবাস হলেই এই দফতরের আর্থিক আনুকুল্য পাওয়া যায়।
অন্য দফতরের মতোই জেলা সংখ্যালঘু দফতরও অঙ্গনওয়াড়ির বাড়ি তৈরি, অতিরিক্ত ক্লাসঘর তৈরি, সাব-সেন্টার তৈরি, সেচ বা পানীয় জলের জন্য অর্থ দেয়। গত আর্থিক বছরে চারটি ব্লককে ৩২টি অঙ্গনওয়াড়ি বাড়ি, ১৯টি অতিরিক্ত ক্লাসঘর, ৩টি সেচ প্রকল্প, ১৬টি পানীয় জল প্রকল্প ও ৭টি সাব-সেন্টার তৈরির জন্য অর্থ দিয়েছিল সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। যার জন্য ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছিল প্রশাসন। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, ৬৬ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। মার্চ মাসের মধ্যে বাকি সব কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি।
কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ করতে এত দেরি হল কেন? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্থ মঞ্জুর হলেও সরকার টাকা দিয়েছিল ২০১২ সালের জুলাই মাসে। স্বাভাবিক কারণেই কাজ শুরু করতেও দেরি হয়েছিল। নাহলে অনেক আগেই কাজ শেষ হয়ে যেত। এ বার যাতে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ বার আরও ৪০টি অঙ্গনওয়াড়ির বাড়ি, ৬টি অতিরিক্ত ক্লাসরুম, ৪টি সাব-সেন্টার, ৪টি সেচ প্রকল্প ও ৯৭টি পানীয় জল প্রকল্প তৈরির জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। প্রশাসন জানিয়েছে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চারটি ব্লকেই এই কাজগুলি হবে। টাকা পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। অন্য দিকে অন্য ব্লকগুলিও যদি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মৌজা পায় তা হলে তা রাজ্যকে জানানো হবে যাতে ভবিষ্যতে ওই মৌজাগুলির জন্যও সংখ্যালঘু দফতর থেকে অর্থ পাওয়া যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.