টুকরো খবর
মিছিল-পাল্টা মিছিলে সরগরম হুগলি জেলা
—নিজস্ব চিত্র।
বনধের সমর্থনে এবং প্রতিবাদের মিছিলে মঙ্গলবার রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে হুগলির বিভিন্ন এলাকা। জেলা সদর চুঁচুড়া, ডানকুনি, বৈদ্যবাটি-সহ জেলার বিভিন্ন অংশে বাম ও তৃণমূল সমর্থকেরা মিছিল করেন। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বনধের আগের দিন পথে কাজে বেরিয়ে যানজটের নাগপাশে বন্দি হয়ে চরম নাকাল হন সাধারণ মানুষ। বনধের প্রতিবাদ এবং সমর্থনে রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে জিটি রোড, দিল্লি রোডের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিকেও রেহাই দেননি। তাতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন বন্ধের প্রতিবাদে রাজ্যধরপুরের চাঁপসড়া থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয় তৃণমূলের। মিছিলটি বৈদ্যবাটি চৌমাথা জিটি রোড হয়ে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির কাছে শেষ হয়। দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে মিছিলটি। কয়েকশো মানুষের ওই মিছিলে জিটি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ দিন সাহাগঞ্জে জিটি রোড হয়ে তৃণমূলের অন্য একটি মিছিল ঘড়ির মোড় পর্যন্ত যায়। সন্ধ্যায় জেলাপরিষদ থেকে সিপিএমের মিছিল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বালির মোড়ে শেষ হয়।

গুলি-বন্দুক উদ্ধার হল আরামবাগে
প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি উদ্ধার হল আরামবাগে। তার মধ্যে ৩টি নাইন এমএম ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড নাইন এম এম গুলি, ৭ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি রাইফেলে কার্তুজ। মঙ্গলবার সকালে কাবলের একটি হিমঘরের পিছনে আবর্জনা সরাতে গিয়ে একটি ড্রামের মধ্যে সেগুলি দেখতে পান শ্রমিকেরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিপিএমের ১২ জন কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলও বের করে তারা। সিপিএমের দাবি, পরিকল্পনা করে তাঁদের দলের লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন আরামবাগের এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্র।
আরামবাগে উদ্ধার হওয়া বন্দুক-গুলি। ছবি: মোহন দাস
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হিমঘরের প্রাচীরের পিছনে কয়েক বছর ধরে আবর্জনা ফেলা হত। এ দিন সেই সবই সাফাইয়ের কাজ চলছিল। তখনই বড় ড্রামটি বেরিয়ে আসে। ঢাকনা খুলে দেখা যায়, সেটি আগ্নেয়াস্ত্রে ঠাসা। পরে পুলিশ এসে সে সব বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ জানায়, ১৩টি ওয়ান শটার পাওয়া গিয়েছে ওই ড্রামে, যার একটি ভাঙা। এ ছাড়াও ছিল ২০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে উত্তেজনা সৃষ্টি করতেই সিপিএম ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিল। তবে আমরা সজাগ আছি।” অন্য দিকে, সিপিএম নেতা বিনয় দত্তের কথায়, “নিত্যনতুন চক্রান্ত করে আমাদের ছেলেদের ফাঁসাতে চাইছে ওরা। পঞ্চায়েত ভোটে যাতে আমরা প্রার্থীই না দিতে পারি বা বুধবারের ধর্মঘট যাতে সফল না করতে পারি সে সবই চাইছে ওরা।”

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার নালিশ, ধৃত ২
কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগে ‘কৃষি শিল্প বিকাশ কেন্দ্র’ নামে এক সংস্থার দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরামবাগের বৃন্দাবনপুর ও পুরনো বাজার পাড়া থেকে পিনাকী দত্ত ও তারাপদ দে নামে ওই দু’জনকে ধরে পুলিশ। মঙ্গলবার আরামবাগ আদালতের বিচারক পিনাকীকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য জনকে পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের জেলহাজতে। ধৃতদের দাবি, একই নামের অন্য একটি সংস্থা জালিয়াতি করেছে। কিন্তু সেই সংস্থার কাউকে না ধরে ফাঁসানো হয়েছে পিনাকী-তারাপদদের। পুলিশ জানায়, বাঁকুড়ার জয়পুরের বাসিন্দা অরুণ মণ্ডল প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। সেই মতোই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ‘কৃষি শিল্প বিকাশ কেন্দ্র’কে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বলে দাবি করতেন সেটির কর্মকর্তারা। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার নাম করে অরুণবাবুর কাছ থেকে তারা ৪ লক্ষ টাকা নেয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাঁকুড়া ও হুগলির বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ৩০ জন যুবক এ ভাবেই প্রতারিত হয়েছেন। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছিল।

গুড়াপ কলঙ্কে দায় কার, খুঁজছে সিআইডি
গুড়াপ মামলা নিয়ে হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছেন সিআইডি কর্তারা। ভবানী ভবন সূত্রের খবর, হাইকোর্টে গুড়াপ হোমের মামলাটির তদারকির দায়িত্বে থাকা দু’জন ডিএসপি স্তরের গোয়েন্দা অফিসারের কাছে এই গাফিলতির ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। সোমবার হাইকোর্ট গুড়াপ কাণ্ডের তদন্ত সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশের পরেই স্বরাষ্ট্র দফতর তদন্তকারীদের কাছে জানতে চায়, কেন হাইকোর্ট সিআইডি-র ওপর আস্থা রাখতে পারল না। কার গাফিলতিতে সিআইডির মুখ পুড়ল, তা জানতে সিআইডি ডিআইজি (স্পেশাল)-কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। সিআইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে তা জমা পড়ে এডিজি সিআইডি-র কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ওই দুই অফিসারের কাছে গাফিলতির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ভবিষ্যতে যাতে এমন না ঘটে, সে জন্য তদন্তকারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তদন্তকারী অফিসার পুলিশ মিটে যোগ দিতে ভোপাল যান। হাইকোর্টে মামলাটি দেখভাল করার কথা ছিল সিআইডি-র এক ডিএসপি পদের অফিসারের। আচমকা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার ডিউটিতে আমতলায় পাঠানো হয়। তাঁর বদলে হাইকোর্টে পাঠানো হয় অন্য এক ডিএসপিকে, যিনি মামলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না।

খুন ব্যবসায়ী
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে জগৎবল্লভপুরে। পুলিশ জানায়, মৃত আক্রম আলির (৩৪) বাড়ি হুগলির চণ্ডীতলায়। পেশায় জরির ব্যবসায়ী আক্রম মোটরবাইকে আসছিলেন জগৎবল্লভপুরে। জগৎবল্লভপুর-উদয়নারায়ণপুর সড়কে তিন যুবক রাস্তা আটকায়। তাদেরই একজন গুলি চালায়। আক্রমকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পারিবারিক কারণেই এই খুন বলে পুলিশের অনুমান।

ডানলপের নিরাপত্তায়
ডানলপ কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার পরে পরিদর্শনে জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা।— নিজস্ব চিত্র
আদালতের নির্দেশে সাহাগঞ্জে ডানলপ কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল হুগলি জেলা পুলিশ। ডানলপ কর্তৃপক্ষ এত দিন একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যদিও কারখানার মালপত্র চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মঙ্গলবার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে পদস্থ কর্তারা কারখানা চত্বর পরিদর্শন করেন। দুই অফিসার-সহ ১৪ জনকে নিয়ে একটি ক্যাম্প করা হয়েছে। মোটরবাইক নিয়ে ডানলপের বিশাল চত্বরে টহল দেবে পুলিশ। বর্তমানে এখানে জল-বিদ্যুতের সংযোগও নেই। জেলা পুলিশের তরফে বাঁশবেড়িয়া পুরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে, কারখানা চত্বরে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে। বিদ্যুৎ সংযোগেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।

ভাড়াটেকে মারধর, ধৃত ৪
ভাড়াটেকে মারধর করে তাঁর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে মালপত্র লুঠপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হল বাড়িওয়ালা-সহ চার জন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার, বালির রামনবমীতলায়। পুলিশ জানায়, বালি বীরেশ্বর চ্যাটার্জী স্ট্রিটের বাসিন্দা মলি সরকার মাস দুই আগে রামনবমীতলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। কিছু দিন থাকার পরে সেখানে আর থাকতেন না। অভিযোগ, ফ্ল্যাট ছাড়ার দাবিতে মালিক কমল দাস লোকজন নিয়ে রবিবার মলিদেবীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ও তাঁর বৃদ্ধা মাকে মারধর করেন। এরপরে মলিদেবীর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে মালপত্র লুঠপাটের চেষ্টা করলে
পুলিশ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.