গলার নলি কাটা অবস্থায় রাস্তা দিয়ে দৌড়চ্ছিলেন এক তরুণী। লুটিয়ে পড়লেন প্রায় দু’শো গজ দূরে গিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বর্ধমান শহর লাগোয়া পাল্লা-শ্রীরামপুরে রাখি পণ্ডিত (২৬) নামে ওই তরুণীকে খুনের অভিযোগে পুতুল রায় নামে এক প্রৌঢ়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “এই খুনের পিছনে প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। ধৃতকে জেরা করে ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, বর্ধমানের ছোটনীলপুরের বাসিন্দা রাখিদেবী পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর স্বামী বিকাশবাবু রিকশা চালান। পুলিশের দাবি, ধৃত পুতুলদেবীকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁর জামাই সন্তোষ রায়ের সঙ্গে রাখিদেবীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ নিয়ে তাঁর মেয়ে পদ্মার আপত্তি ছিল। তাই মা পুতুলদেবী ও বাবা পরিমলবাবুর সঙ্গে রাখিদেবীকে খুনের ছক কষেন পদ্মা।
পুলিশ জানায়, তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্তোষবাবুকে দিয়ে জোর করে রাখিদেবীকে ফোন করান পুতুলদেবীরা। তাঁকে রাতে পাল্লা-শ্রীরামপুরে ডিভিসি সেচখালের কাছে যেতে বলা হয়। রাখিদেবী সেখানে গেলে ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেওয়া হয়। সেই অবস্থায় দৌড়তে শুরু করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে রাস্তা দিয়ে দৌড়তে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় মানুষজন। রাতে বর্ধমান থানায় গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন রাখিদেবীর স্বামী, পেশায় রিকশাচালক বিকাশ পণ্ডিত। তিনি পুলিশকে জানান, বিকেলে কাজে বেরিয়ে স্ত্রী আর বাড়ি ফেরেননি। মৃতার আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুতুলদেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর স্বামী, মেয়ে ও জামাইয়ের খোঁজ চলছে। |