হাসপাতালে অপমৃত্যু জওয়ানের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
ট্রেন থেকে পড়ে জখম অসম রাইফেলের এক জওয়ান হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে ওই জওয়ানের চিৎকার শুনে চিকিৎসকরা ছুটে আসেন। এর আধ ঘণ্টা পরেই ওই জওয়ান মারা যান। শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে চিকিৎসকরা জানান। পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “কেন ওই জওয়ান আত্মহত্যা করল খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” হরিয়ানার বাসিন্দা মৃত জওয়ানের নাম প্রহ্লাদ সিংহ (৫২)। একুশ দিন ছুটি কাটিয়ে তিনি আপ ব্রহ্মপুত্র মেলে গুয়াহাটিতে চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বিকাল চারটা নাগাদ ফালাকাটা স্টেশনে ঢোকার আগে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান। বাঁ পায়ে আঘাত পেয়ে কাতরাতে থাকা ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। ফালাকাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তাঁর বাম পা ভেঙেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ জওয়ানের চিৎকার শুনে স্বাস্থ্য কর্মীরা শয্যার কাছে কাছে গিয়ে দেখেন প্রহ্লাদের দু হাতের শিরা কাটা। রক্তে বিছানা ভিজে গিয়েছে। পাশে কয়েকটি ব্লেড পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে চিকিৎসকরা ছুটে আসেন। জওয়ানকে অক্সিজেন, স্যালাইন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা হয়। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, “খুবই কম সময় ছিল। অত দ্রুত রক্তের ব্যবস্থা করা যায়নি। ওর কাছ থেকে প্রায় এক ডজন ব্লেড মিলেছে।” জওয়ান মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিশের একাংশের ধারণা। ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সফল না হওয়ায় ওই জওয়ান দ্বিতীয় বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে পুলিশের ধারণা।
|
পুজোর ভোজ খেয়ে অসুস্থ ৫০০ পড়ুয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
কামরূপের ক্ষেত্রীতে সরস্বতী পুজোর ভোজ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী। পুলিশ জানায়, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে খিচুড়ি ও মাংসের ভোজ পরিবেশিত হয় দুরুং মধ্য ইংরাজি স্কুল, কুলকার্নি প্রাথমিক স্কুল ও বরগয়ারি প্রাথমিক স্কুলে। বিকেল থেকেই তিনটি স্কুল মিলিয়ে শ’পাঁচেক ছাত্রছাত্রীর বমি-পায়খানা, মাথা ঘোরা-সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। ডিমোরিয়া-সোনাপুর অঞ্চল থেকে চারটি বাস ও ১৬টি অ্যাম্বুলেন্সে তিনশো ছাত্রছাত্রীকে গুয়াহাটিতে আনা হয়। মোট আক্রান্তের সংখ্যা আজ সকাল অবধি বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচশো। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২৪ জন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও ঠাঁই-নাই অবস্থা। দুরুং স্কুলে চিকিৎসক ও নার্স পাঠিয়ে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করেছে প্রশাসন। তবে, সেখানে পর্যাপ্ত বিছানা নেই। মাটিতে শুইয়েই চিকিৎসা চলছে। বাড়ছে ক্ষোভ।
|
হাসপাতালের নতুন ভবনের শিলান্যাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
মালবাজারে একটি ব্লক হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরির শিলান্যাস ও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন হল। রবিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব ওদলাবাড়িতে ব্লক হাসপাতালের নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন। ৩০ টি শয্যা থাকবে। ভবনটি নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ হবে। মেটেলির চালসাতে মঙ্গলবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি। পুরনোটি ২০১১-র ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
|
স্বাস্থ্য শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হল খেজুরির হলুদবাড়ি অঞ্চলের জগন্নাথচকে। শনিবার ওএনজিসি ও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে আয়োজিত শিবিরে চক্ষু, স্ত্রী রোগ ও সাধারণ বিভাগের একাধিক চিকিৎসকরা ৫৩১ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
|
মস্তিষ্কের মৃত্যুর পরেই অঙ্গদানের পক্ষে সওয়াল |
মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়। এ শুধু কবির বাণী নয়, চিকিৎসকদেরও কথা। মস্তিষ্কের মৃত্যু হলেও থেকে যাওয়ার পথ খোলা আছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অঙ্গদানই পরোক্ষে থেকে যাওয়ার সেই পথ। মস্তিষ্কের মৃত্যুর পরে মৃতদেহ থেকে অঙ্গ সংগ্রহ করে তার সফল প্রতিস্থাপনে এক বছর পূর্ণ করল পশ্চিমবঙ্গ। রবিবার সেই ঘটনার বর্ষপূর্তি উৎসব পালন করল মধ্য কলকাতার এক নার্সিংহোম। গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই নার্সিংহোমেরই নিরাপত্তাকর্মী বিমল কর্মকারের ‘ব্রেন ডেথ’ হওয়ার পরে তাঁর দু’টি কিডনি দান করেন পরিবারের লোকেরা। এ দিন বিভিন্ন চিকিৎসক মস্তিষ্কের মৃত্যুর পরে অঙ্গদানের প্রয়োজনের কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিমলবাবুর পরিবারের লোকজনও। নার্সিংহোমের শিক্ষা বিভাগের মেডিক্যাল কো-অর্ডিনেটর সৌরভ কোলে বলেন, “১৯৯৪ সালে ‘ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অফ হিউম্যান অর্গানস অ্যাক্ট’ চালু হওয়ার পরে অন্য বেশ কিছু রাজ্যে প্রতিস্থাপন চালু হলেও পূর্বাঞ্চলে হয়নি। এ বিষয়ে সচেতনতা আরও বাড়ানো দরকার।”
|
ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান কেমন চলছে, সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হচ্ছেন, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব কেসব দেশিরাজু। রবিবার মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বাস্থ্যসচিব সতীশ তিওয়ারির সঙ্গে এসএসকেএমে আসেন তিনি। কথা বলেন রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গেও। ওই প্রতিনিধিদলে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমিও। |