স্কুলবাড়ির উপর দিয়ে হাইটেনশন তার, আশঙ্কা
স্কুল বাড়ির গা ঘেঁষে গিয়েছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতবাহী তার। ফলে আটকে গিয়েছে স্কুলবাড়ি দোতলা করার কাজ। প্রতি মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কায় ভুগছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবক, শিক্ষকেরা।
এই চিত্র জগতবল্লভপুর ব্লকের শঙ্করহাটি ১ পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণপাড়া চিন্তামণি বালিকা বিদ্যালয়ে। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে মুন্সিরহাটের চিন্তামণি বয়েজ স্কুলেই বালিকা বিভাগটি থাকলেও পরে ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বালিকা বিভাগের জন্য নতুন বাড়ি তৈরি হয়। সেটা ১৯৯৩ সালের কথা। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুলবাড়িটি দোতলা করা প্রয়োজনীয় হয়েছে। কিন্তু একতলার ছাদ ও স্কুল মাঠের উপর দিয়ে গিয়েছে হাইটেনশন তার। যে কোনও সময় তা ছিঁড়ে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।

যদি ঘাড়ে এসে পড়ে....।—নিজস্ব চিত্র।
প্রধান শিক্ষিকা রেবা পাইন বলেন, “জগতবল্লভপুর ও পাতিহাল থেকে প্রচুর ছাত্রী পড়তে আসে আমাদের স্কুলে। স্কুলে ঘরের সংখ্যা বাড়ানো খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাধা হাইটেনশন তার।” তাঁর আশঙ্কা, “আমরা সব সময়ে ভয়ে ভয়ে থাকি, যাতে কোনও ছাত্রী ওই হাইটেনশন তারে হাত না দিয়ে দেয়।” ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক জগদীশ হাটুই বলেন, “আমি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা যৌথ ভাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ রাজ্যের বিদ্যুত্ মন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। এর কিছু দিন পর মাকড়দহের বিদ্যুত্ দফতর থেকে কর্মীরা আসেন স্কুল পরিদর্শনে। তার দু’সপ্তাহ পরে ওই দফতর থেকে বিদ্যুতের লাইন সরাবার জন্য ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকার খরচের হিসেব দিয়ে লিখিত কোটেশন পাঠানো হয়। আমাদের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।” তাঁর দাবি, “আমরা বিদ্যুত্ দফতরকে জানিয়েছিলাম যে নির্ধারিত অর্থের ৪০ শতাংশ দিতে আমরা রাজি। কিন্তু তারপরেও প্রায় এক বছর কেটে গিয়েছে। বিদ্যুত্ দফতর আর উচ্চবাচ্য করেনি।”
মাকড়দহ বিদ্যুত্ দফতরের সহকারী বাস্তুকার সমীর সর্দার বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনও অর্ডার পাস হয়ে আসেনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে কাজটা করা যায়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.