সুপার মডেলরা কোথায় হারাল
ছরটা ১৯৯৫।
মিলিন্দ সোমন আর তাঁর তখনকার গার্লফ্রেন্ড মধু সাপ্রে প্রবুদ্ধ দাশগুপ্তর জুতোর বিজ্ঞাপনে শ্যুট করে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন। মুম্বই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চের তরফ থেকে কেস রেজিস্টার করা হয়েছিল। কারণ? মিলিন্দ আর মধু সম্পূর্ণ বিবস্ত্র ছিলেন বিজ্ঞাপনটিতে। পায়ে জুতো আর গলায় জড়ানো একটা পাইথন। ‘ওয়াইল্ড প্রোটেকশন অ্যাক্ট’-এর অন্তর্গত কেস করা হয়েছিল অবৈধ ভাবে পাইথন ব্যবহার করার জন্য।
ঠিক চোদ্দো বছর লেগেছিল কেসটা খারিজ হতে। ইতিমধ্যে বহু পত্র-পত্রিকার কভার ছবিতে মিলিন্দ আর মধু। বলিউডে মিলিন্দ ছবিও করেছেন। মধুকেও দেখা যায় ‘বুম’ ছবিতে জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে এক অন্তরঙ্গ দৃশ্যে। তবে আজও ফিরে তাকালে মিলিন্দ আর মধুর পরিচয় ভারতের সুপারমডেল হিসাবে।
মার্ক রবিনসনও তাই। অনেকেই আজও ভুলতে পারেননি পূজা বেদির সঙ্গে তাঁর ‘কামসূত্র’র কনডোম বিজ্ঞাপনটার কথা। কুড়ি বছরেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। তবু আজও অনেকেই মনে রেখেছেন পূজা আর মার্ক-এর হ্যান্ড শাওয়ার নিয়ে তোলা সেনসুয়াল বিজ্ঞাপনটি। মাঝখানে অঞ্জন দত্তের ‘বড়দিন’ ছবিতে অভিনয় করলেও, আজও মার্ককে কিন্তু ভারতের সুপারমডেল হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়।
মডেলিং-এর জগতে মিলিন্দ আর মার্ক এখন কিংবদন্তি হয়ে রয়ে গিয়েছেন। ফ্যাশন উইক-এর সংখ্যা বাড়তেই থাকছে। র্যাম্পে মডেলের সংখ্যাও কিছু কম নয়। তবু মিলিন্দ, মধু আর মার্ক-এর মতো সুপারমডেল আর কেন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না?

উজ্জ্বলা রাউত

নয়নিকা চট্টোপাধ্যায়

মধু সাপ্রে
মার্কের নিজের মডেলিং এজেন্সি থাকা সত্ত্বেও তিনি মেনে নেন যে আজকের ফ্যাশনের দুনিয়াতে ভারত থেকে কোনও সুপারমডেল নেই। “কোন নাম বলব আমি? ঘুরে ফিরে তো সেই মিলিন্দ আর মধুর নামই আসবে। মডেলিং আমাদের ধ্যান-জ্ঞান ছিল। আমরা নিজেরাই নিজেদের কেরিয়ারের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতাম। লম্বা চুল ছিল আমার। প্রয়োজনে নিজেদের পোশাক খুলতেও পিছপা হতাম না,” বলেন তিনি।
আর আজকে? হ্যাঁ, মডেলদের ছুঁৎমার্গ নেই ঠিকই। আজকে তো যে কোনও স্টারলেটই জামা-কাপড় খুলতে পিছপা নন। আর খুললেই তা ‘ট্যুইটার’-এ আপলোড করে দেন। “সময় একটা বড় জিনিস। আমরা সেই সব জিনিস করেছিলাম কুড়ি বছর আগে। হয়তো আমরা জানতাম কখন আর কার সামনে সেটা করা দরকার। প্রবুদ্ধ দাশগুপ্তের মতো ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে আমরা কাজ করেছি। অ্যালেক পদমসির সঙ্গে হোম ওয়ার্ক করতাম। আর তার জোরেই সব বড় বড় বিজ্ঞাপনের ক্যাম্পেন আমাদেরকে দিয়েই শ্যুট করা হত,” মার্ক বললেন।
তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই আম জনতা থেকে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় লোকেরা ভারতের সুপারমডেলদের চিনে ফেলতেন। আর অজান্তেই জার্মান সুপারমডেল ক্লদিয়া স্কিফারের সুপারমডেলের সংজ্ঞার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে ফেলতে পারতেন। ক্লদিয়ার ভাষায়, সুপার মডেল হতে গেলে এক জনকে একসঙ্গে জগতের সব ম্যাগাজিনের কভারে থাকতে হবে যাতে আম জনতা তাকে চিনতে পারে।
এখন দুনিয়া পাল্টে গিয়েছে। ভারতেও সব ম্যাগাজিনের কভারে একমাত্র বলিউডের তারকা আর ক্রিকেটারদের দেখা মেলে। মডেলরা র্যাম্পে ভিড় করেন। প্রিন্ট অ্যাডে থাকলেও খুব কম সংখ্যক মডেলকে নিয়ে কভার স্টোরি লেখা হয়। আর সবার কাছেই বলিউড হল শেষ কথা। যে অভিনেতারা এক সময় ভাল মডেলিং দিয়ে শুরু করেছিলেন, তাঁরা হয়তো ম্যাগাজিনের কভারে। তবে তাঁদের পরিচয় আর মডেল হিসাবে নয়। তা সে জন আব্রাহাম, দিনো মোরিয়া, অর্জুন রামপাল যেই হোন না কেন। বা ঐশ্বর্যা রাই, সুস্মিতা সেন, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, লারা দত্ত, বিপাশা বসু, কোয়েনা মিত্র, সেলিনা জেটলি, ক্যাটরিনা কাইফ, ইয়ানা গুপ্ত আর দীপিকা পাড়ুকোন।

লক্ষ্মী রানা

ইন্দ্রাণী দাশগুপ্ত

ক্যারল গ্রেসিয়াস
এই বলিউডের সব কিছু গ্রাস করে নেওয়ার প্রবণতাই ভারতীয় সুপার-মডেলদের মৃত্যুর কারণ। এ বছর পদ্মশ্রী পেয়েছেন ডিজাইনার ঋতু কুমার। তাঁর মতে বলিউড তারকাদের ভিড়ে প্রতিভাবান মডেলরাও সে ভাবে লোকের চোখে পড়ছেন না। কোন তারকা কখন শো স্টপার হবেন এটাই তো সবার চিন্তা। বলিউড সব কিছুকে গ্রাস করেছে। “একটা শো-তে বলিউডের তারকা থাকলে ক’টা মডেলের ছবি দেখতে পাওয়া যায় আজ?” ঋতুর প্রশ্ন। “মডেলিং-এ প্রতিভা যে নেই এ কথা আমি বলব না। সোনালিকা সহায় আর লক্ষ্মী রানা বেশ ভাল কাজ করছে। তবে আগে কম শো হত। তাই লোকের নজর কাড়া সম্ভব ছিল। আজকে প্রায় প্রত্যেকটা শহরে, প্রত্যেকটা সিজনে একটা করে ফ্যাশন শো। তাই অনেক সময় এরা হারিয়ে যাচ্ছে।”
একই মত ডিজাইনার রীনা ঢাকার। সেই আশির দশক থেকেই মডেলিংয়ের জগতে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রীনা। ‘মায়ামি ফ্যাশন উইক ২০০৪’-এ পেয়েছিলেন বেস্ট ডিজাইনার অ্যাওয়ার্ড। নাওমি ক্যাম্পবেল থেকে উমা থুরম্যান তাঁর পোশাক পরেছেন। সেই রীনার মতে, “আগে তো ফ্যাশন উইকস হত না। যে ক’টা শো হত, সেখানে মডেলরা ডিজাইনারদের স্বপ্নগুলো তুলে ধরতেন। আর দর্শকদের মতামতটাও খুবই জরুরি ছিল। আজ ফ্যাশন উইকের সংখ্যা বেড়েছে। তার সঙ্গে বেড়েছে মডেলদের সংখ্যাও। এমনকী বিদেশেও আজ আর সে ভাবে সুপারমডেল দেখতে পাই না। শেষ যাঁর নাম বলতে পারি, সে হল জিসেল বান্ডশেন।” রীনার চোখে দেখা ভারতের সেরা সুপারমডেলের মধ্যে পড়বেন মালাইকা অরোরা খান (অভিনেত্রী বা প্রযোজক হওয়ার আগে), মেহের জেসিয়া, মধু সাপ্রে এবং ফ্রিদা পিন্টো।
মার্ক আরও বলেন যে আগে তাঁদের মতো মডেলরা সুপারমডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। “আজকাল মডেলিংটা হল বলিউডে অভিনয় করার একটা সিঁড়ি মাত্র। মডেলদের জন্য এজেন্সিরাই তো সব চিন্তা করে। আর তাঁদের সব থেকে বড় চিন্তা হল নিজেদের কাজটা কত ভাল হবে। তাই এনডর্সমেন্ট বলতেই তাঁরা বোঝেন ক্রিকেটার বা বলিউডের তারকা। একজন পুরুষ সুপারমডেলের নাম আমি বলতে পারব না।

জেসি রনধাওয়া

নেত্রা রঘুরামন
আর এই জন্যই আমি পুরুষদের দোষ দিই না। আজকের পুরুষ মডেলরা যত টাকা পান, তার থেকে ঢের বেশি আমি আর মিলিন্দ আমাদের মডেলিংয়ের সময় রোজগার করতাম। আর মেয়েরা তো বলিউডের দিকেই পা বাড়িয়ে রয়েছেন। ডায়ানা পেন্টি বলে একজন ভাল মডেল ছিলেন। কিন্তু তিনি তো বিদেশে গিয়ে তার পর আবার দেশে ফিরে সেই বলিউডই করলেন। ‘ককটেল’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখলাম ওঁকে।”
পুরুষ ফ্যাশনের মার্কিনি পত্রিকা ‘এস্কোয়ার’-এর ‘বিগ ব্ল্যাক বুক অব স্টাইল’-এ ডিজাইনার নরেন্দ্র কুমার আহমেদের কাজের নাম উল্লিখিত আছে। ‘ফ্যাশন’, ‘আলাদিন’, ‘নো স্মোকিং’-এর মতো ছবির ডিজাইনও করেছেন। তাঁর মতে আগেকার দিনের সুপারমডেলদের স্বপ্নগুলো আলাদা ছিল। “আজকাল সবাই তাকিয়ে আছেন বলিউডের দিকে। মেয়েরা আসে যায়। উজ্জ্বলা রাউতই বোধহয় শেষ ভারতীয় সুপারমডেল যিনি বিদেশেও অনেক ভাল কাজ করেছেন। উনি কিন্তু মডেলিংই করে গিয়েছেন। গ্রেট বডি। সুন্দর স্কিন টোন। আর একটা ভারতীয় ছাপও ছিল।’’
সুপারমডেল হতে গেলেই যে লম্বা হতে হবে তা কিন্তু নয়। মনে করেন নরেন্দ্র। ‘‘কেট মসকে দেখুন। সুপারমডেল। মেরেকেটে পাঁচ ফুট ছ’ইঞ্চি। সুপারমডেল হতে যেটা সব থেকে আগে দরকার তা হল ক্যারিশমা। মিলিন্দ সোমনকে দেখুন। উনি বলিউডের তারকাদের মতো নন যে বয়স চল্লিশ, কিন্তু হাবভাব করছেন যেন সবে সতেরো হয়েছে। সব বয়সেই মিলিন্দকে ভাল লেগেছে দেখতে। একটা ব্যক্তিত্ব থাকা দরকার। ক্লোন হলে চলবে না। শুধুমাত্র ডিজাইনারের প্রিয় হলেই সুপারমডেল হওয়া যায় না। ব্যক্তিত্ব থাকাটাও সমান জরুরি,” বলেন নরেন্দ্র।
মডেল লক্ষ্মী রানার মতে সুপারমডেল ধারণাটাই পালটে গিয়েছে আমাদের দেশে। “যখন মধু সাপ্রে কাজ করতেন, তখন মডেলিং-কে ট্যাবু হিসেবে দেখা হত। একজন কী দু’জন ছিলেন এই পেশায়। আর তাঁদের ওপরই সব চোখ চলে যেত। এখনকার সময় মহিলাদের জন্য মডেলিং বেশ ভাল একটা পেশা। বলিউড অনেক কিছুই গ্রাস করছে তার কারণ আমাদের দেশটাই পুরোপুরি বলিউড কেন্দ্রিক।”

মার্ক রবিনসন

পিয়া ত্রিবেদী
তবে হাল ছাড়ছেন না লক্ষ্মী। “ডিজাইনার মণীশ মলহোত্র আগে বলিউড তারকাদের ছাড়া শো-ই করতেন না। এখন করেন। আমি নিজেই সেই শো করেছি,” বলেন লক্ষ্মী। তাঁর ধারণা ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলো শুধু বিক্রি বাড়ানোর জন্য সব কভারেই বলিউড ব্যবহার করে। “সেটা তো ঠিক নয়। বিদেশে কিন্তু ফ্যাশনকে অনেক বেশি সিরিয়াসলি দেখা হয়। তাই ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভারে সিনেমার তারকারা থাকেন না। আমরা এই সে দিন একটা ভারতীয় ফ্যাশন ম্যাগাজিনে সুপারমডেল নিয়ে শ্যুট করেছি। তাতে ছবি রয়েছে আমার। স্বপ্না কুমারী, ভাবনা শর্মা, ইন্দ্রাণী দাশগুপ্ত, সোনালিকা সহায় এবং ক্যারল গ্রেসিয়াস। অনেক ফোন পেয়েছি। আশা করি অন্য ম্যাগাজিনগুলোও তাদের কাজের ধাঁচটা পাল্টাবে,” বলেন লক্ষ্মী। আর পুরুষ সুপারমডেল? “না, একজনের কথাও বলতে পারছি না। বহু যুগ আগে মিলিন্দ আর মার্ক ছিলেন। তার পর অর্জুন, জন সব্বাই সিনেমাতে চলে গেলেন। এখন যা অবস্থা, তাতে ভারতে পুরুষদের মডেলিং করাটা খুব ভাল একটা পেশা নয়।”

বিতর্কিত সেই বিজ্ঞাপনে
মধু সাপ্রে ও মিলিন্দ সোমন
তবে নয়নিকা চট্টোপাধ্যায় মহিলা মডেলদের ভবিষ্যৎ নিয়েও অতটা আশাবাদী নন। “আমাদের দেশে এখন মডেল আছে। সুপারমডেল নেই। বলিউডের দাপট রয়েছে। ডিজাইনাররা মনে করেন যে পোশাক বিক্রি করাটা জরুরি। তাই মডেলদের উপর বেশি ফোকাস তাঁরা চান কি না সন্দেহ আছে। তাঁদের কাছে যদি মডেলরা একে অপরের ক্লোনও হন, তাতেও কোনও আপত্তি নেই। পোশাক বিক্রিটাই আসল। অনেক মডেলই তাই এ সব দেখে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে শুধুমাত্র একটা সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন। আর কেউ কেউ পেশায় আছেন গ্ল্যামারের লোভে। আবেগ আর কাজের প্রতি আনুগত্য না থাকলে কী করে হবে?”
তা হলে কি ভারতীয় ফ্যাশন দুনিয়াতে ‘সুপারমডেল’ শব্দটার পুরোপুরি ভাবে মৃত্যু ঘটে গিয়েছে? “হ্যাঁ, তা বলা যেতে পারে। আমি খুব একটা আশাবাদী নই। তবে আজও এক-আধটা শো-তে এমন একজন মডেলকে দরকার যার অ্যাটিটিউড আছে। যে খুব সহজেই অন্য ধরনের পোশাককে ক্যারি করতে পারে। তাই হয়তো এখনও আমি কাজ করে যাচ্ছি।” নয়নিকার কথা শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল সুপারমডেল-দুনিয়ায় তিনিই কি তা হলে শেষ প্রতীক?

ইন্ডাস্ট্রি কী বলছে
সুনীল শেটি
প্রেসিডেন্ট, ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া
আমি ভাবতে চাই না যে সুপার মডেলরা সব হারিয়ে গিয়েছেন। মনে-প্রাণে চাই না সেটা হোক। সুপার মডেল হতে গেলে শুধুমাত্র সুন্দরী হলে বা র্যাম্পে ভাল হাঁটলেই হয় না। গোটা ব্যক্তিত্বটাই আকর্ষণীয় হওয়া দরকার। যাকে বলে ‘ক্যারিশমা’। একটা সময় ছিল যখন মিলিন্দ সোমন, রাহুল দেব, মুজাম্মিল ইব্রাহিম সুপারমডেল ছিল। ওরা আজও ফ্যাশন-দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। দিন পাল্টায়। এখন অনেক সময় মডেলরা বলিউডে অভিনয় করতে চলে যাচ্ছে। দীপিকা পাড়ুকোন তো মডেল ছিল। আজও আমরা বললেই আমাদের ডিজাইনারদের শো-তে হাঁটতে রাজি হয়ে যায়। জেসি রণধওয়াও দারুণ কাজ করছে। একবাক্যে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই ওকে চেনে। আমার চোখে লক্ষ্মী রানা আর সোনালিকা সহায়ও খুব ভাল। ১৩ থেকে ১৭ মার্চ দিল্লিতে শুরু হচ্ছে ‘উইলস লাইফস্টাইল ইন্ডিয়া ফ্যাশন উইক’। সেখানে বলিউডের তারকাদের সে ভাবে দেখা যাবে না। সাম্প্রতিক কালের আরও দু’জন খুব ভাল মডেলের নাম করব। নেত্রা রঘুরামন আর প্রিয়া ত্রিবেদী। এক জনকে আমরা হারিয়েছি টেলিভিশনের কাছে। আর এক জনকে বলিউডে। তবু হাল ছাড়ছি না। আবার সুপার মডেল নিশ্চয়ই দেখতে পাবে।

ড্রেস সার্কল
আগে ফ্যাশন উইকস হত না। যে ক’টা শো হত, সেখানে মডেলরা ডিজাইনারদের স্বপ্নগুলো তুলে ধরতেন। দর্শকদের মতামতও খুবই জরুরি ছিল
রীনা ঢাকা
সবাই তাকিয়ে আছেন বলিউডের দিকে। মেয়েরা আসে যায়। উজ্জ্বলা রাউতই বোধহয় শেষ ভারতীয় সুপারমডেল যে বিদেশেও অনেক ভাল কাজ করেছে
নরেন্দ্র কুমার আহমেদ
মডেলিং-এ প্রতিভা যে নেই এ কথা আমি বলব না। সোনালিকা সহায় আর লক্ষ্মী রানা বেশ ভাল কাজ করছে। তবে বলিউডের হাতছানি অনেকেই এড়াতে পারেন না
ঋতু কুমার



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.