মহিলাদের উত্ত্যক্ত করায় প্রতিবাদ করেছিলেন সাব ইন্সপেক্টর। তার জেরে ওই পুলিশ অফিসারকে ঘুষি মারায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দীপেশ লামা নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে সরকারি অফিসারকে হুমকি, মারধর, কাজে বাধা-সহ ছয়টি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার কাছে ঘটনাটি ঘটে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “কয়েকজন মহিলাকে ওই যুবক উত্যক্ত করছিল। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়ে ধৃতের হাতে নিগৃহীত হন ওই সাব ইন্সপেক্টর। ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।” কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রদীপকুমার দাসের ওই রাতেই সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সাব ইন্সপেক্টর প্রদীপবাবু পুলিশ লাইন থেকে হেঁটে থানার দিকে যাচ্ছিলেন। থানা লাগোয়া খালাসিপট্টি মোড়ের কাছে রাস্তায় তিনজন মহিলার সঙ্গে এক যুবকের কথা কাটাকাটি হচ্ছে দেখে তিনি দাঁড়ান। ওই মহিলারা তাঁকে জানান, ওই যুবক তাদের উত্যক্ত করছে। তিনি মহিলাদের বাড়ি চলে যেতে বলায় দীপেশ প্রদীপবাবুর সঙ্গে বচসা জুড়ে দেয়। জামা ধরে টানাটানির পাশাপাশি তাঁকে ধুষি মারে। তাঁর পিঠে চোট লাগে। ওই যুবককে ধরে রেখে প্রদীপবাবু মোবাইল থেকে থানায় ফোন করলে তাঁর সহকর্মীরা আসেন। দীপেশকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কোচবিহার শহরের ওই মহিলারা সরস্বতী পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন। তাঁরা কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। প্রদীপবাবুই ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবীন্দ্রভবন মোড়, বৈরাগি দিঘি চত্বর, সাগরদিঘি পাড়, নিউটাউন, রাজবাড়ি এলাকায় কিছু যুবক মহিলা, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। কোচবিহার নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সম্পাদক রাজু রায় বলেন, “ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় পুলিশ নিগৃহীত হচ্ছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থাটা শহরে কতটা খারাপ তা এই ঘটনায় স্পষ্ট।” |