নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী মদন মিত্র।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইংরেজবাজার বিধানসভা এলাকায় মালদহ এবং লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার বেশ কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তাদের ডেকে এনে সভা করেছেন তিনি। ছিলেন ওই কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। স্থানীয় টাউন হলে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে ক্লাব-কর্তাদের সঙ্গে ওই বৈঠক কার্যত নির্বাচনী প্রচার ছিল বলে এ দিন কলকাতায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের কাছে বামফ্রন্টের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
ইংরেজবাজার বিধানসভা উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পুষ্পেন্দু মিত্রও জানান, এই নিয়ে তাঁর কাছে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি।
তবে পরিবহণমন্ত্রী ওই বৈঠকের মধ্যে কোনও বিধিভঙ্গের কারণ দেখছেন না। তাঁর প্রশ্ন, “বিধিভঙ্গের কী আছে?” কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “ওটা সরকারি বৈঠক ছিল না। মালদহের খেলার জগতে আমাদের রাজনৈতিক শাখা আছে। তৃণমূল সমর্থিত ক্লাব-কর্তা ও খেলোয়াড়দেরই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। বিরোধী গোষ্ঠীর কেউ সেখানে ছিলেন না।”
কৃষ্ণেন্দুবাবুর এই যুক্তি অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। তিনি বলেন, “খেলার জগতে আমরা-ওরা কী! সব ক্লাবের কর্তাদেরই তলব করা হয়েছিল। আসলে ক্রীড়ামন্ত্রীর উপস্থিতিতে ক্লাবগুলিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল।”
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরীরও দাবি, “যতই ভোট এগিয়ে আসছে ততই পায়ের তলা থেকে মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিতে খেলোয়াড় ও ক্লাবগুলিকে প্রভাবিত করতে ক্রীড়ামন্ত্রীকে নিয়ে এসে ভোটের মুখে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তৃণমূল।”
বামেদের অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর ও রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার দীননারায়ণ ঘোষ। মুর্শিদাবাদের দুই সরকারি কর্তার বিরুদ্ধেও তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ জমা নিচ্ছেন না। |