কটকের দুঃস্বপ্ন ভুলে কোচিতে কি আলোর সন্ধান দিতে পারবে বাংলা? রবিবার সেই উত্তরের খোঁজেই দিল্লির বিরুদ্ধে সন্তোষ ট্রফি অভিযানে নামছে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের দল।
রবিবার দিল্লিকে হারাতে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনাল লিগে জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলার। কোচি থেকে ফোনে দলের অধিনায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলছিলেন, “আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। দিল্লিকে হারিয়ে কালকেই কোয়ার্টারের রাস্তাটা পরিষ্কার করে নেব।” বাংলার অধিনায়ককে আত্মবিশ্বাসী শোনালেও, কোচ মনোরঞ্জন কিন্তু বেশ সতর্ক। তাঁর যুক্তি, “প্রস্তুতিতে ঘাটতি না থাকলেও, ম্যাচ প্র্যাক্টিস একেবারেই হয়নি। সময়ের অভাবে এক সঙ্গে খেলার সুযোগ পায়নি ফুটবলাররা। আমি মনে করি, প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একদম যে টেনশন হচ্ছে না, সেটা কিন্তু বলা যাবে না।”
ওডাফা-টোলগেদের ভিড়ে মোহনবাগানের প্রথম দলে জায়গা না হলেও, গোলের খোঁজে আজ বাংলার প্রধান ভরসা সেই দীপেন্দুই। মনোরঞ্জন বলছিলেন, “দিল্লির হারানোর কিছু নেই। খোলা মনে খেলতে পারবে। ওদের ফুটবলারদের মধ্যে একটা অদ্ভুত জেদ দেখলাম। ম্যাচে শুরুতে গোল না করতে পারলে, সমস্যা হতে পারে। দীপেন্দুর অভিজ্ঞতা আছে। ও জানে এ রকম ম্যাচে কী ভাবে চাপ সামলাতে হয়।”
দিল্লির মতো বাংলার দলেও তারুণ্যের অভাব নেই। দীপেন্দু, সাগ্রাম মাণ্ডি এবং গোলকিপার অর্ণব দাস শর্মাকে বাদ দিলে বাকি সবাই অনভিজ্ঞ। কলকাতা লিগের সদ্য ফসল। দীপেন্দু বলছিলেন, “একেবারে নতুন দল নিয়ে খেলার সুবিধাও আছে, আবার অসুবিধাও। নতুনদের মধ্যে শেখার আগ্রহ থাকে। পরিশ্রম করতে পারে। জেতার খিদেও প্রচুর। কিন্তু মাঝে মাঝে অভিজ্ঞতার অভাব ভোগাতে পারে দলকে।” এখন শুধু দেখার, দিল্লি-বধের রাস্তায় জেতার খিদে কাজে লাগে, না কি অনভিজ্ঞতার বলি হয় বাংলা? |