কলকাতা ডার্বির আগেই ঐতিহ্যবাহী আই এফ এ শিল্ডে মুখোমুখি হতে পারে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। শনিবার শিল্ডের যে ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে টোলগে ওজবে বনাম এডে চিডির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে। তবে যে পর্বেই শিল্ডের ডার্বি হোক তা হবে যুবভারতীতেই। শিল্ড শুরু হচ্ছে ৪ মার্চ।
স্টেডিয়াম ভর্তি করে যাতে দর্শক আসেন তা ভেবেই সূচি তৈরি করেছে আই এফ এ। লাল-হলুদ সমর্থক যেখানে বেশি সেই শিলিগুড়িতে ফেলা হয়েছে ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের দলের খেলা। সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, শিলং লাজং এবং র্যান্টি মার্টিন্সের দল প্রয়াগ ইউনাইটেড। আবার মোহনবাগান সমর্থক যেখানে বেশি সেই কল্যাণী স্টেডিয়ামে ফেলা হয়েছে করিম বেঞ্চারিফার দলের খেলা। এই গ্রুপের দুটি ম্যাচ শুধু হবে যুবভারতীতে। ওডাফাদের খেলতে হবে টুর্নামেন্টের সবথেকে হাইপ্রোফাইল টিম প্রাক্তন বিশ্বকাপার সমৃদ্ধ কোস্তারিকার সাপ্রিসা ছাড়াও পুণে এফ সি এবং পৈলান অ্যারোজের সঙ্গে। গ্রুপ লিগের ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা হলেও সেমিফাইনাল ও ফাইনাল কবে হবে তা জানাতে পারেননি সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। বলে দেন, “ইস্টবেঙ্গলের এ এফ সি ম্যাচ আছে। মোহনবাগানের আই লিগের ম্যাচ আছে। গ্রুপ লিগের পরিস্থিতি দেখে পরের দুটি পর্বের সূচি তৈরি হবে। তবে ১৯ মার্চের মধ্যেই টুর্নামেন্ট শেষ হবে।” এ বারের শিল্ডের স্পনসর হয়েছে এন ভি ডি। শিল্ডের পুরষ্কার অর্থও এ বার বাড়ছে। চ্যাম্পিয়ন পাবে ২৫ লাখ টাকা। রানার্স ২০ লাখ। স্পনসরদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, শিল্ডের প্রচারের জন্য এ বার নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শিল্ডের যে সূচি তৈরি হয়েছে তা এই রকম: শিলিগুড়ি পর্ব— ইস্টবেঙ্গল: শিলং লাজং (৪ মার্চ), প্রয়াগ ইউনাইটেড: মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ (৫ মার্চ), ইস্টবেঙ্গল: মুক্তিযোদ্ধা (৭ মার্চ), প্রয়াগ: শিলং লাজং (৭ মার্চ), ইস্টবেঙ্গল: প্রয়াগ (৯ মার্চ), শিলং লাজং: মুক্তিযোদ্ধা (১০ মার্চ)। কল্যাণী পর্ব— সাপ্রিসা, কোস্টারিকা: পুণে এফ সি (৫ মার্চ), মোহনবাগান: পৈলান অ্যারোজ (৬ ফেব্রু:), মোহনবাগান: পুণে এফ সি (৮ মার্চ), মোহনবাগান: সাপ্রিসা (১০ মার্চ)। যুবভারতীর দুটি ম্যাচ হলসাপ্রিসা: পৈলান (৮ মার্চ), পুণে: পৈলান (১০ মার্চ)। দু’টি সেমিফাইনালের মধ্যে একটি হবে যুবভারতীতে। অন্যটি শিলিগুড়িতে। ফাইনাল হবে সল্টলেকেই।
ভেটারেন্স ক্লাবের গুডইউইল ফুটবলে: ইস্টবেঙ্গল মাঠে শনিবার সিনিয়র ও জুনিয়রদের দুটি ফাইনাল হয়। সিনিয়র বিভাগে রাজ্য বিদু্যৎ পর্ষদ ১-০ হারায় ইনকাম ট্যাক্সকে। গোল করেন শৈবাল ঘোষ। জুনিয়র বিভাগে মহমেডান ৭-০ বিধ্বস্ত করে বাঘা সোম কোচিং সেন্টারকে। আসিফ হোসেন হ্যাটট্রিক করে। অন্য গোলগুলি করে সৌরভ রায় (২), শোমু মোদক (২)। ভেটারেন্স ক্লাবের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিন অলিম্পিয়ান চুনী গোস্বামী, বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, পল্টু রায়-সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন। শ্যাম থাপা, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়, কার্তিক শেঠ ছিলেন মাঠে। |