স্থানীয় ক্রিকেটে জর্জ টেলিগ্রাফ বনাম ওয়াইএমসিএ ম্যাচের ঝামেলা নিয়ে সিএবি-র সিদ্ধান্ত নিতে এখনও দেরি। আগামী মঙ্গলবারের আগে কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু সিএবি যা এখনও পেরে উঠল না, সেটাই করে দেখাল জর্জ টেলিগ্রাফ ক্লাব।
ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ডেকে অভিযুক্ত কর্তা পার্থ সিংহকে ক্রিকেট সচিবের পদ থেকে বহিষ্কার করে দিল জর্জ। যাঁর বিরুদ্ধে কিনা ম্যাচের আম্পায়ার সমীর ঘোষকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনা নিয়ে তোলপাড় ময়দান।
শনিবারের কাগজে পার্থবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা মারাত্মক অভিযোগ দেখে তড়িঘড়ি বৈঠকে ডাকে জর্জ। সংশ্লিষ্ট কর্তার সঙ্গে কথাও বলে নেওয়া হয়। পরে জর্জের সহ-সচিব অনির্বাণ দত্ত বলছিলেন, “আমরা ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি যা করেছেন তা ক্লাবের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। আম্পায়ার ভুল করতেই পারেন। সেটার জন্য লিখিত ভাবে অভিযোগ করা যেতে পারে। কিন্তু গায়ে হাত তোলাটা উচিত নয়। তাই এই সিদ্ধান্ত।” |
কিন্তু ঘটনার সঙ্গে তো জড়িয়ে জর্জ কোচ অনুপ দাসও। বলা হচ্ছে, পুরো ব্যাপারটার পিছনে ইন্ধন তাঁরই ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এ বার জর্জ সহ-সচিবের উত্তর, “দেখুন, মূল অভিযোগটা উঠেছে পার্থবাবুর বিরুদ্ধে। কোচের ব্যাপারটা আমরা সে ভাবে শুনিনি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে কোচকেও সতর্ক করা হবে।”
পার্থবাবুকে যে ক্লাবের পদ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে, সেটা এ দিন সিএবিকেও জানিয়ে আসা হয়। কিন্তু সিএবি-র আবার শনিবার রাত পর্যন্ত সময় হয়নি সেই চিঠি খুলে দেখার। যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় বলে দিচ্ছেন, “একটা চিঠি এসেছে শুনলাম। কিন্তু খুলে দেখিনি এখনও।” কবে সিএবি-র পক্ষ থেকে এই কর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? এ বার সুজনের জবাব, “মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে কিছুই বলা যাবে না।”
আর বহিষ্কৃত কর্তা? পার্থবাবুর কথায়, তাঁকে অন্যায় ভাবে শাস্তি দেওয়া হল। এ দিন সন্ধেয় ফোন করা হলে বলছিলেন, “তিরিশ বছর ধরে ময়দানে আছি। কোনও দিন এমন অভিযোগ কেউ তোলেনি। সে দিন যে মাঠে আম্পায়াররা ফোনে এক প্রভাবশালী কর্তার সঙ্গে ক্রমাগত কথা বলে যাচ্ছিলেন, সেটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “ক্লাবের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি আমি। ক্লাব যা ভাল বুঝেছে, করেছে। সত্যি বলতে, সে দিন চড় মারব বলেছিলাম। কিন্তু মারিনি। তবে এটাও ঠিক যে, কোনও দিন আর মাঠে ঢুকব না।” |