দিল্লি পুলিশের জালে পাল্ফের ফাইটিং কম্যান্ডার
তিহাড় জেলে বন্দী থাকার কথা ছিল তার। বদলে দেশের রাজধানীতে বিদেশি বাইক চুরির চক্র চালাচ্ছিল সে। মঙ্গলবার দিল্লির সকুর বস্তি এলাকা থেকে পুলিশ যখন মহম্মদ আব্বাস খানকে গ্রেফতার করে, তখনও তাদের কাছে তার পরিচয় ছিল নেহাতই গাড়ি চোর। গাড়ি চোরের ‘বায়োডাটা’য় মণিপুরের ঠিকানা ছিল। সেখানকার পুলিশের কাছেও সাহায্য চায় দিল্লি পুলিশ। চোরের ছবি দেখে মণিপুর পুলিশের চোখ কপালে!
মহম্মদ আব্বাস খান যে সে অপরাধী নয়। সে ‘পিপল্স ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট’ বা পাল্ফের এমআই খান গোষ্ঠীর ‘ফাইটিং কম্যান্ডার’। ২০১০ সালে ধরা পড়ে। ২০১২ সাল পর্যন্ত আব্বাস তিহাড়ে বন্দী ছিল। একটি মামলার শুনানির জন্য গত বছর তাকে তিহাড় থেকে মণিপুরে আনা হয়। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় আব্বাস। সেখান থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় সে। পুলিশ জানায়, আব্বাস বেঙ্গালুরুতে লেখাপড়া করত। প্রথমে সে বেঙ্গালুরুর মণিপুরি ছাত্র সংগঠনে যোগ দেয়। তার বাবাও ছিল কেওয়াইকেএল জঙ্গি। ২০০২ সালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাবার মৃত্যুর পর সে মণিপুরে ফিরে আসে। খুড়তুতো দাদা শেরার হাত ধরেই আব্বাস সংগঠনে ঢোকে। প্রথমে তার কাজ ছিল জঙ্গিদের হয়ে তোলা সংগ্রহ। পুলিশ ও আধা সেনার হাতে দু’বার ধরা পড়ার পরে সে দিল্লি গিয়ে নানা আস্তানায় থাকত। সেখানে দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আব্বাস চোরাই বিদেশি বাইক উত্তর-পূর্বে পাঠাবার কাজ শুরু করে।
জানা গিয়েছে, ইম্ফল পরিবহণ দফতরে দালাল ও কয়েক জন কর্মীকে হাত করে ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বানানো হত। চোরাই বাইক পাঠানো হত রাজধানী এক্সপ্রেসে। ডিমাপুর স্টেশনে বাইকগুলি ট্রেনে থেকে নামাত আব্বাসের প্রতিনিধি। ২০১০ সালে স্পেশ্যাল সেল আব্বাসকে গ্রেফতার করে। খুনি-তোলাবাজ-অপহরণকারী-জঙ্গি তথা দুঁদে বাইক চোরের ঠাঁই হয় তিহাড়ে। গত বছর ইম্ফলের জওহরলাল নেহরু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে দিল্লিতেই ফিরে যায় আব্বাস। ফের পুরোনো অপরাধে মন দেয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.