|
|
|
|
জোড়া চাপকে উপেক্ষা করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় সিটু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গে যা-ই হোক, গোটা দেশে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি দু’দিনই ধর্মঘট পালন হবে। এক দিকে কলকাতা হাইকোর্টের কড়া মনোভাব, অন্য দিকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ধর্মঘট-বিরোধী অবস্থান এই দুইয়ের চাপের মধ্যেও ধর্মঘট সফল করতে আজ দিল্লিতে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নামার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা। শ্রমমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়গে শ্রমিক নেতাদের কাছে আর্জি জানান, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হোক। সিটু নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন খাড়গে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বক্তব্য, দাবি মানা না হলে তাঁরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে সরছেন না।
পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই সিটু ঘোষণা করেছে, ২০ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট হলেও পরের দিন শুধুই শিল্প ধর্মঘট হবে। ভাষা দিবসের দিন ধর্মঘট পালন করা নিয়ে বুদ্ধবাবু আপত্তি তোলার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সিটু। যদিও আজ সিটু-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন, “এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা শ্রমিক সংগঠনের তরফ থেকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছি।”
আইএনটিইউসি সভাপতি জি সঞ্জীব রেড্ডির ব্যাখ্যা, “যদি আন্দোলনের স্বার্থে সংগঠনগুলি বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়, সেখানে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। সারা দেশে দু’দিনই ধর্মঘট পালন হবে।” ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা অবশ্য মানছেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো অন্যান্য রাজ্যেও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। তবে তা হলেও আন্দোলনে খামতি হবে না বলেই তাঁদের দাবি।
এআইটিইউসি-নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত বলেন, “স্বাধীনতার পরে এই সমস্ত শ্রমিক সংগঠন এক মঞ্চে এসে দু’দিনের ধর্মঘটন পালন করছে। এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।” রাজনৈতিক ভেদাভেদ না করে তাই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে বিহার, ওড়িশা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন গুরুদাস। তাঁর দাবি, সকলেই ধর্মঘটে সাহায্য করছেন। তাই দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীও দু’দিন অচল থাকবে। |
|
|
|
|
|