টুকরো খবর
স্নায়ু-সমস্যা মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগ
স্মৃতিলোপ ও স্নায়বিক বিকাশজনিত বিভিন্ন উপসর্গের মোকাবিলায় এ বার হাত মেলাচ্ছে ভারত ও ব্রিটেন। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় ও ‘বেঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অফ স্টেমসেল বায়োলজি অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন’ (ইনস্টেম)-এর বিশেষজ্ঞেরা মিলে একটি সংস্থা গড়ে তুলছেন। আজ, শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘সেন্টার ফর ব্রেন ডেভলেপমেন্ট অ্যান্ড রিপেয়ার’ নামের সংস্থাটির পথ চলা শুরু হবে। এটি গোড়ায় অটিজমজমিত সমস্যা নিয়ে কাজ করবে। ভবিষ্যতে স্মৃতিলোপের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্নায়বিক সমস্যা নিয়ে কাজ করার জন্যও তারা বিজ্ঞানীদের তৈরি করবে। কেন্দ্রীয় জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রক এই প্রয়াসটিকে সাহায্য করবে। “জীববিদ্যা নিয়ে যৌথ গবেষণায় এই নতুন প্রতিষ্ঠানটির গড়ে ওঠা এক দিক চিহ্ন”, বলছেন সুমন্ত্র চট্টোপাধায়। বেঙ্গালুরুর ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস’ (এনসিবিএস)-এর নিউরোবায়োলজি-র অধ্যাপক সুমন্ত্রবাবুই নতুন সংস্থাটির অধিকর্তা। তাঁর মতে, “বিজ্ঞান-চর্চায় বিশ্বমানের বিশেষজ্ঞদের একজোট করার কাজে দিক খুলে দেবে নতুন সংস্থাটি। অটিজম ও মানসিক বিকাশের বিভিন্ন সমস্যা বুঝতে এটা দরকার ছিল।” ইনস্টেম, এনসিবিএস ও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ চেষ্টায় নানা গবেষণা চলছে দু’বছর ধরে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর ক্লিনিক্যাল ব্রেন সায়েন্সেস’-এর অধিকর্তা তথা স্নায়ুবিদ্যার অধ্যাপক সিদ্ধার্থ চন্দ্রন বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনে সাধারণ মনোরোগ ও স্নায়বিক রোগের বিপদ ঠেকানো ছাড়াও পরীক্ষাগারে ভবিষ্যতের গবেষণার জন্য পরের প্রজন্মকে তৈরি করতেও বেঙ্গালুরুর নতুন সংস্থা পথ দেখাবে।”

প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ
সরস্বতী পুজোর প্রসাদ খেয়ে ৪০ জন পড়ুয়া-সহ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় ৯০ জন। তাঁদের বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবিনাশ বেসরা বলেন, “বমি, পেট ব্যথা ও ঘন ঘন পায়খানার উপসর্গ নিয়ে ৯০ জন ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এমনটা হয়েছে।” স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকা অসুস্থরা জানিয়েছেন, তাঁরা বান্দোয়ানের ধাদকা অঞ্চলের বাসিন্দা। এ দিন তাঁরা কুড়িয়াপাড়া প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজোর পর সেখানে চিঁড়ে-গুড়ের প্রসাদ খেয়েছিলেন। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া উর্মিলা সিং ও তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া গুরুবারি সিং বলে, “আমাদের সঙ্গে এলাকার বাসিন্দারাও প্রসাদ খান। বাড়ি ফেরার পর মাথা ঘুরতে লাগল। কয়েকবার বমি হয়।” অন্যদেরও নানা সমস্যা তৈরি হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুখু মাহালি বলেন, “দোকান থেকে চিঁড়ে, গুড় ও ফল কিনে এনেছিলাম। স্কুলের পড়ুয়া ছাড়াও যে সব বাসিন্দা পুজো মণ্ডপে ছিলেন সবাইকে প্রসাদ দিয়েছি। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।” স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সূত্রের খবর, প্রত্যেকের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

টিকাকরণ কর্মসূচি দক্ষিণ দিনাজপুরে
জাপানি এনসেফেলাইটিস মোকাবিলা করতে দক্ষিণ দিনাজপুরে মার্চ মাস থেকে টিকাকরণ কর্মসূচী অভিযানের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। উত্তরবঙ্গে আরও ৪ জেলাকে ওই কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। এই জেলাগুলি হল উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। ১৫ মার্চের পরে হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিবির করে শিশু কিশোরদের টিকা দেবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.