|
|
|
|
|
|
|
সাজগোজ... |
|
বেনারসি লেহেঙ্গা পাঞ্জাবি শেরওয়ানি |
বাঙালি বর-কনের পোশাকে উলটপুরাণ। লিখছেন রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
এই ফাল্গুনেই গাঁটছড়া বাঁধবেন দক্ষিণ কলকাতার মৃণালিনী ও সল্টলেকের আই-টি চাকুরে ইন্দ্রদীপ। গায়ে হলুদের তত্ত্বে একমাত্র বৌমা-র জন্য ইন্দ্রদীপের মা পাঠাবেন লেহেঙ্গা-শাড়ি। মাপজোক দিয়ে পরিচিত ডিজাইনারের কাছে তার অর্ডারও করা হয়ে গিয়েছে।
লাল টুকটুকে বেনারসি আর গরদের পাঞ্জাবি।
২০১৩-তে দাঁড়িয়ে যেন মান্ধাতা আমলের বিয়ের পোশাক!
তবে? বাঙালি কনের অঙ্গে এখন ডিজাইনারের ড্রেস!
ক্যাথরিন মিডলটন থেকে বিদ্যা বালন হয়ে করিনা। বা এই শহরেই কোয়েল-রানে, গৌরব চট্টোপাধ্যায় থেকে রণদেব বসু সব্বাই লাইন দিয়ে ডিজাইনারের দরজায়। কারণ এটাই, চলতি হাওয়া। সেলেবদের বিয়ের খবর শুনলেই তাই খোঁজ পড়ে বিয়ে থেকে রিসেপশন কার পোশাকে সাজবেন হবু বর-কনে। তা হলে নন-সেলেব বাঙালি কনেই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন?
মোটেই পিছিয়ে নেই।
এই যেমন বৌভাতের সন্ধ্যায় মৃণালিনী পরবেন মটকা সিল্কের লেহেঙ্গা-শাড়ি। যেখানে মটকা লেহেঙ্গার সঙ্গে আঁচল সেলাই করা। শাড়ির শরীরে সিল্কের ওপর গোল্ড ব্লক প্রিন্ট। কনট্রাস্ট আনতে বর্ডারে ময়ূরকণ্ঠী নীল আর কমলা সুতোর কাজ। সঙ্গে লম্বা হাতার ডিজাইনার ব্লাউজ। সব মিলিয়ে সাজে থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
রিসেপশন ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ের রাতেও ডিজাইনারের ড্রেস! কেমন আজব হবে সে পোশাক এ সব সাতপাঁচ ভেবে অনেক অভিভাবকই কপালে ভাঁজ ফেলছেন। কিন্তু আজকের হবু বর-কনে ব্যাপারটাকে দেখছেন অন্য ভাবে। ইকনমিক্স অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঊর্নিশার কথায়, ‘‘দোকান থেকে বেনারসি বা কাঞ্জিভরম তো যে কেউ-ই পেতে পারেন। বিয়ের জন্য চাই এক্সক্লুসিভ কিছু। যা শুধুই আমাকে ভেবে তৈরি।’’ মণীশ মালহোত্রা বা সব্যসাচীর পোশাক ছাড়া নিজের বিয়েতে অন্য কিছুই ভাবতে পারছেন না অভিনেত্রী পায়েল সরকারও। |
|
ওঁদের কথাকেই সমর্থন করে ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল বললেন, ‘‘বেনারসিতে হরেদরে সেই ভারী জরির কাজ। রঙেরই যা ফারাক। সত্যি কথা বলতে কী, বেনারসি আলাদা করে আজকাল তেমন চোখ টানে না।’’ সেখানে ডিজাইনারদের দিয়ে বানানো পোশাক পুরোটাই কাস্টমাইজ করা। কনেকে ভেবে তৈরি। স্বভাবতই তাতে একটা ‘ইউনিক’ ব্যাপার থাকে। তাই বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার পরই হবু দম্পতি ঋত্বিক-ঋতুপর্ণা দক্ষিণ কলকাতার এক ফ্যাশন ডিজাইনারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে বিয়ের সাজ হবে কিন্তু সাবেকি। তাই ঋতুপর্ণা বানালেন সিঁদুর-লাল জারদৌসি কাজের লেহেঙ্গা-শাড়ি। বর্ডারে সবুজ ও ম্যাজেন্টা সুতোর কাজ। ঋত্বিক বানালেন অফহোয়াইট পাঞ্জাবি। ওপরে মেরুন সুতোর ঘন কাজ। |
শুধু তোমার জন্য |
ফেসবুক, এমএমএস আর ভিডিয়ো চ্যাটে প্রেম জমে উঠেছিল বেঙ্গালুরুর কঙ্কণা’র সঙ্গে কলকাতার সৌরভের। হঠাৎই দুম করে বিয়ে ঠিক। সলাজ হেসে কঙ্কণা জানালেন, ‘বলতে গেলে শুভদৃষ্টিতেই আমাদের প্রথম দেখা। বেশ টেনশনে ছিলাম। বন্ধুদের বুদ্ধিতেই ডিজাইনারের কাছে যাই। সৌরভ এখনও বলে বিয়ের দিনই আমায় সবচেয়ে সুন্দর লাগছিল। পুরো কৃতিত্বটাই আমার ডিজাইনারের।’
ডিজাইনার চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরা ব্যাপারটা আরও একটু ভেঙে বললেন। ‘‘গায়ের রং, উচ্চতা এ সব তো আছেই, পোশাক তৈরির আগে হবু কনের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিই, তাঁর পেশা কী? বর তাকে কী ভাবে দেখতে চায়। বিয়ের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে এগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর সবাই তো ডানাকাটা পরি নন। কারও চেহারা ভারিক্কি ধরনের, তাঁকে কী রকম ব্লাউজে মানাবে, সেটাও বলে দেওয়া হয়। কাউকে হয়তো নীল রঙের পোশাকে ভাল মানায়। অথচ মেয়েটি তা জানেই না।’’ সেই সঙ্গে দেখা হয় কী রকম পোশাকে মেয়েটি স্বচ্ছন্দ বোধ করছে, কী ক্যারি করতে পারছে ইত্যাদি ইত্যাদি। মোদ্দা কথা, পোশাকটি শুধু সেই মেয়েটিকে ভেবেই তৈরি। একই ব্যাপার ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রেও। ডিজাইনার শর্বরী দত্ত বলবেন, ‘‘খুঁত সবারই থাকে। সেখানে ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যটা বের করে আনাই ডিজাইনারদের দায়িত্ব। আমার পোশাক পরে তাঁকে যেন অনেক ভাল দেখায়, সেটাই চ্যালেঞ্জ।’’
এ তো গেল একটা দিক। অন্য দিকটি হল, মানুষ এখন অনেক বেশি হিসেবি। পার্টি বা বিয়েবাড়িতে বেনারসি পরার চল উঠে যাচ্ছে। বেনারসি বিয়ের ওই একটা দিনই। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটা জমকালো ভারী কাজের বেনারসি কিনে ওয়ার্ডরোবে সাজিয়ে রাখা এ এখন আর চলে না। এখানেই বাজিমাত ডিজাইনারদের। তাঁরা পোশাক বানাচ্ছেন এ সব মাথায় রেখেই। |
বিদ্যা বালন পরেছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের কাজ করা শাড়ি |
এষা পরেছিলেন কাঞ্জিভরম শাড়ি। নীতা লুল্লার ডিজাইন করা। ভরত পরেছিলেন নীতা লুল্লার ডিজাইনের অফহোয়াইট শেরওয়ানি। বর্ডারে বাদামি রঙের কাজ |
|
বিয়ের পরের ওয়েডিং
পার্টিতে করিনা পরেছিলেন মালহোত্রার তৈরি ঘাঘরা। সঙ্গে দোপাট্টা। সইফ পরেছিলেন বেনারসির কাজ করা আচকান। ডিজাইনার রাঘবেন্দ্র রাঠোর |
|
পোশাকের সাতকাহন |
বিয়ের পোশাক যা-ই হোক না কেন, জমকালো হবে। কিন্তু ভারী হবে না। অফিসে বড়সড় পার্টিতেও আপনি অনায়াসেই সেটি পরতে পারবেন। এমনটাই বক্তব্য ডিজাইনারদের। ‘‘সবাই এখন ঝুঁকছে প্রয়োজনের দিকে। এখন যেমন, সোনার বোতামের চল উঠে যাচ্ছে, বরং ডিজাইনার বোতামের অনেক বেশি কদর। তেমনই দীর্ঘদিন পরবে এই মনে করেই বিয়ের পোশাক বানানো।’’ বলছেন ‘দর্জি’র স্নেহাশিস।
রানে-রণদীপ বসুর বিয়ের পোশাক বানিয়েছেন অভিষেক দত্ত। তাঁর সোজাসাপ্টা জবাব, ‘‘বলতে পারেন চোখ খুলে গেছে। সবাই এখন ফ্যাশন সচেতন।’’
তবে বিয়ের দিনটির জন্য লাল-মেরুন এখনও এগিয়ে। লাল জমির ওপরই মূলত শাড়িগুলো বাছা হয়। এমনকী লাল ঢাকাই জামদানির ওপর কাজ করেও তৈরি হচ্ছে বিয়ের শাড়ি। ফ্রেব্রিকের মধ্যে রয়েছে জর্জেট, তসর, সাটিন, মুগা ইত্যাদি। গরমের জন্য র-সিল্ক, জর্জেট, ক্রেপ দারুণ ভাবে ইন।
শাড়ির পাশাপাশি ভেল তৈরির ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষ কারিকুরি। আড়াই মিটারের ভেলগুলো এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সেটা পরেও ব্যবহার করা যায়। অগ্নিমিত্রার কথায়, “বিয়ের ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে আরও একটা শাড়ি তৈরি করে দিলাম, যার আঁচলের জায়গায় লাগিয়ে দিলাম ওই ভেলটা। ভেলটা কাজে লাগল আবার আরও একটা ডিজাইনার শাড়িও হয়ে গেল।’’ |
|
বেনারসিই যেখানে শেষ কথা |
বিয়ে এখন হাতে গুনে দিন দুয়েকের পর্ব নয়। আগে পরে অনেক এপিসোড ব্যাচেলার্স পার্টি, সঙ্গীত, মেহেন্দি, রিসেপশন। এগুলোর জন্য রয়েছে লেহেঙ্গা, সারারা’র মতো ডিজাইনার ড্রেস।
অন্য দিন যা খুশি পরুন না কেন, লাল বেনারসি ছাড়া বিয়ে? কভি নেহি।
এমনটা যাঁদের বক্তব্য, তাঁদের জন্য চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরার পরামর্শ, ‘বেনারসি তো শুধু জরি দিয়ে বোনা থাকে। আমরা তার ওপর সুতো, স্টোন বা জারদৌসির কাজ করে দিই। অন্য স্টাইলে। দোকানেও এমব্রয়ডারি করা রেডিমেড বেনারসি পাবেন। অনেকে এখন বিয়েতে সাদা বা অফহোয়াইট বেনারসি পরছেন, তখন ওপরে করে দেওয়া হয় গোল্ডেন বা লাল সুতোর কাজ। লুকটা বদলে যায়।’
ডিজাইনাররা বেনারসিতে জুড়ে দিচ্ছেন নস্টালজিয়াও! অগ্নিমিত্রা পল বললেন, ‘‘মা-ঠাকুমার ফেঁসে যাওয়া পুরোনো বিয়ের শাড়ি থেকে মোটিফ তুলে নতুন শাড়িতে বসিয়ে দিই। এতে নতুন শাড়িও হল, আবার সেন্টিমেন্টও জড়িয়ে রইল।’’ ঠিক যেমনটা ভাবনা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর। বিয়ে এখনও দূরঅস্ত। তবু বিয়ে আর রিসেপশনের সাজ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা সেই ছোট থেকেই মনে মনে বুনে রেখেছেন। জানালেন, ‘রিসেপশনে মণীশ মালহোত্রার তৈরি পোশাক পরার দারুণ ইচ্ছে আমার। কিন্তু বিয়ের দিন অবশ্যই মায়ের বিয়ের বেনারসিটাই পরব। সে ক্ষেত্রে ডিজাইনারকে দিয়ে সেটা নতুন করে তৈরি করে নিতে হবে।’ |
|
সিনেমায় করিনাকে যে রকম লেহেঙ্গা পরতে দেখলেন, দুম করে ঠিক তেমনটাই
কিনে ফেলবেন না। মাথায় রাখুন আপনাকে ঠিক কেমনটা মানাবে |
ভরসা করুন আপনার ডিজাইনারকে। তিনি-ই বলে দেবেন কেমন পোশাকে আপনাকে সবচেয়ে বেশি মানাবে |
পোশাক তৈরিতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করবে পোশাকের কাজ
ও ধরনের ওপর। হাতে মাসখানেক সময় রেখে অর্ডার দিন |
হাতে সময় কম থাকলে সরাসরি রেডিমেড পোশাক কিনতে পারেন ডিজাইনারদের
স্টোর থেকে। প্রয়োজন মতো অল্টার করিয়ে নিতে হবে |
ছেলেদের পাঞ্জাবি ৫ হাজার টাকা ও শেরওয়ানি ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু। মেয়েদের
পোশাক শুরু ১০ হাজার টাকা থেকে। ডিজাইনার ভেল পাবেন ৩ হাজার টাকায় |
|
পাল্লা দিচ্ছেন বরও |
পিছিয়ে নেই বরেরাও। বিয়ের দিন পুরোপুরি ফোকাসটা যে তাঁদেরই ওপর! সুতরাং চাই নজরকাড়া পোশাক। কেমন হবে সে পোশাক? ডিজাইনার শর্বরী দত্ত জানালেন, ‘‘বিয়েতে বাড়ির বড়দের মতামত কাজ করে। যেমন পোশাক বাছতে কোয়েলের বর রানে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ওঁর দিদিকে। বাঙালি বিয়েতে সাবেকি সাজ প্রাধান্য পায়।’’
‘দর্জি’র স্নেহাশিসের মতে, বিয়ের দিনের জন্য বর পরবে গরদ, তসর, মুগা বা বিস্কিটের মতো হালকা রঙের পাঞ্জাবি। বরং রিসেপশনে মন খুলে সাজুন। অনেক রকম কাট অ্যান্ড স্টাইল আছে। আংরাখা, আচকান, শেরওয়ানি, বন্ধগলা, প্রিন্সকোট, যোধপুরি কোট এ সব পরখ করুন রিসেপশনে। বৌয়ের শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করেও পোশাক বানাতে পারেন। শর্বরীর পরামর্শ, “বৌ যদি গোলাপি পরেন, বরের পোশাক হবে গেরুয়া বা গোল্ডেন ইয়েলো। বৌয়ের পোশাক লাল হলে বরকে অফহোয়াইটে দিব্যি মানাবে।”
সম্প্রতি নিজের বিয়েতে শর্বরীর ডিজাইন করা গোল্ডেন-রাস্ট রঙের আচকান পরেছিলেন ফিনান্স ম্যানেজার দিব্যরূপ ঘোষ। হানিমুনের মাঝে ফোনে জানালেন, ‘দাদা বিয়েতে পরেছিল শর্বরীর পোশাক। আমিও রিসেপশনের জন্য শর্বরীর পোশাক ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারলাম না। শুধু পছন্দের রংটা বলে দিয়েছিলাম, বাদবাকিটা ছিল ওঁর দায়িত্ব। বুকের কাছে চৌকো চৌকো মোটিফ দিয়ে ট্র্যাডিশনাল লুক ফুটিয়ে তুলেছিলেন। ঠিক যেমনটা আমাকে মানায়।” |
সাধ সাধ্যের মধ্যেই |
কিন্তু ডিজাইনারের ড্রেস মানেই তো বিশাল টাকার ধাক্কা! প্রচুর দামি। সাধারণের নাগালের বাইরে। মুখের কথা কেড়ে নিয়ে শর্বরী বললেন, ‘‘অনেকে মনে করেন আমি কেবল সচিন তেন্ডুলকরের ড্রেস বানাই। অভিষেক বচ্চনই পারেন আমার কাছ থেকে বিয়ের পোশাক বানাতে। বা ধোনির মতো ধনীদের জন্যই আমার পোশাক। তা কিন্তু নয়। ব্যাঙ্কের চাকুরে থেকে শুরু করে ছোটখাটো ব্যবসা করেন এমন অনেকেই আমার কাছ থেকে বিয়ের পোশাক বানিয়েছেন। কুড়ি বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, টাকা নয়, শৌখিনতাই বিয়ের ক্ষেত্রে বড় কথা।’’
তাই বলে গেলেন আর ঝুপ করে ডিজাইনারকে দিয়ে খান কয়েক ড্রেস বানিয়ে নিলেন, ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। এক্সক্লুসিভ কিছু করার আগে যেমন দরকার প্ল্যানিং, এখানেও ঠিক তাই। আগে বাজেট বানিয়ে নিন। সেই মতো এগোনো। ডিজাইনাররা অনেকেই ফোনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেন। তাঁদের কাছে পোশাক বানাতে গেলে দামের আন্দাজ আগেই মিলবে। |
|
|
কনের জন্য |
চেহারা ভারীর দিকে হলে জর্জেট, ক্রেপের মতো হাল্কা ফেব্রিকের ডিজাইনার শাড়ি পরা ভাল।
ভারী কাজের বেনারসি পরলে আরও মোটা দেখাবে। তাই বেনারসি পরতে বারণ করব |
ভুঁড়ি বেশি হলে লম্বা ব্লাউজ পরতে হবে। লম্বা ব্লাউজ না পরতে চাইলে দোপাট্টা
বা শাড়ি এমন করে নিতে হবে, যাতে পেটের অংশ ঢাকা পড়ে যায় |
লেহেঙ্গা খুব আঁটসাঁট করে বাঁধবেন না। লেহেঙ্গার নীচের দিকের ঘের বেশি হওয়া চাই |
গায়ের রং চাপা হলে প্যাস্টেল শেড বা বাদামি বা মেরুনের মতো কালচে রং না পরে বাছুন লাল,
কমলা-র মতো উজ্জ্বল রঙের পোশাক। ফর্সা মেয়েরা গোলাপি পরলে বেশি মানাবে |
উচ্চতা কম হলে চওড়া বর্ডার পরবেন না। শাড়ি-লেহেঙ্গা যা-ই পরুন, তা যেন হয়
এক কালারের। ইচ্ছে করলে কনট্রাস্ট ব্লাউজ পরতে পারেন |
বরের জন্য |
উচ্চতা কম হলে কুর্তার লেন্থ ছোট হবে |
চেহারা ভারিক্কি হলে বুক বা পেটের কাছে খুব ভারী কাজ যেন না থাকে।
জরি বা সুতোর হাল্কা কাজ থাকতে পারে। ছোট মোটিফের কাজ হবে |
গায়ের রং খুব চাপা হলে ধবধবে সাদা বা কালচে মেরুন বা কালচে সবুজ-এর
মতো রং না বেছে ক্রিম কালার, অফহোয়াইট ইত্যাদি রং বাছুন |
সৌজন্য: অভিষেক দত্ত |
|
|
|
|
|
|