|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
সেবার সঙ্গে থাক বাণিজ্যও |
বইপোকা |
গ্রন্থ লইয়া বাণিজ্যের কথা পাড়িলেই এখনও নাসিকা কুঞ্চিত করেন অনেকে। আমরা বই ছাপি না, বিষয় ছাপি স্লোগান একদা বইমেলা আলো করিয়া থাকিত। বাণিজ্যস্পৃহাকে এখনও গ্রন্থনির্মাণ, সাহিত্যসেবা ইত্যাকার সুভাষণে প্রকাশ করেন অনেক প্রকাশক। ফলে সেবাটিও জমে না, বাণিজ্যটিও মাঠে মারা যায়। এই দোলাচল-প্রবণতার একটি উদাহরণ দিই। বঙ্গীয় কোনও উপন্যাস লইয়া চলচ্চিত্র নির্মিত হইলে বইটির প্রচ্ছদ অনেক সময় বদলাইয়া যায়, চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যই সটান উঠিয়া আসে নতুন প্রচ্ছদে। ইহা স্বাভাবিক। কারণ চলচ্চিত্র অদ্যাপি গ্রন্থ অপেক্ষা বেশি জনপ্রিয় মাধ্যম। |
|
অস্বাভাবিক এবং অসঙ্গত যাহা তাহা হইল ওই গ্রন্থ হইতে পুরাতন প্রচ্ছদটির চিরতরে বিদায়। অতীতে ইহা দেখা গিয়াছে সোনার কেল্লা (সঙ্গে প্রথম প্রচ্ছদ), পথের পাঁচালী-র ন্যায় উপন্যাসের ক্ষেত্রে। ইংরাজি প্রকাশনার জগতে বিষয়টি কিন্তু অন্য রকম। চলচ্চিত্রের দৃশ্য প্রচ্ছদে ব্যবহার করিয়া একটি নূতন ‘পপুলার’ সংস্করণ চলচ্চিত্রটি মুক্তির সঙ্গেই প্রকাশিত হয় বটে, কিন্তু পাশাপাশি মূল প্রচ্ছদের গ্রন্থটিও বাজারে থাকে। অর্থাত্ পাঠকের পছন্দের সুযোগ থাকে। সম্প্রতি ভিন্টেজ বুকস রুশদি-র মিডনাইট’স চিলড্রেন-এর এরূপ সংস্করণ প্রকাশ করিয়াছে। বিষয়টি বঙ্গীয় প্রকাশকমহল ভাবিয়া দেখিতে পারেন। ইহাতে বিশুদ্ধ পাঠকের সমীহ অর্জন করিতে পারিবেন, বাণিজ্যেও লক্ষ্মী বসত করিবে। |
|
|
|
|
|