শিবির করবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম
সরাসরি ধান কেনার উদ্যোগ
মবায় সমিতিগুলি ধান কেনার কাজে গড়িমসি করায় অভাবী বিক্রি বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। ধান কেনার কাজে গতি আনতে তাই এ বার সরাসরি ধান কেনার শিবির করতে চলেছে খাদ্য দফতরের অধীন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম। মূলত জেলার তমলুক, এগরা মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় ধান কেনার শিবির করবে নিগম। কারণ এই দুই মহকুমায় চালকলও বিশেষ নেই বলে ধান কেনার কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। ধান কেনা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য খাদ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তমলুকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। জেলা খাদ্য নিয়ামক নবরাজ বড়ুয়া বলেন, ‘‘চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা নিয়ে জেলার কিছু এলাকায় সমস্যা আছে। এই সমস্যা দূর করতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার জন্য শিবির করবে। মূলত জেলার তমলুক, এগরা মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে শিবির করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি মাসেই নিগম শিবির করে ধান কেনার কাজ শুরু করবে। এর জন্য জেলায় ছ’জন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।”
জেলা খাদ্য দফতর ও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানের অভাবী বিক্রি রুখতে চলতি বছর মাঠ থেকে আমন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ধান কেনার পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য খাদ্য দফতর। সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে (সাধারণ ধান কুইন্টাল প্রতি ১২৫০ টাকা, সরু ধান ১২৮০ টাকা) নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জেলায় কৃষকদের কাছে ধান কেনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। চলতি বছর জেলা থেকে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মতো চালকলগুলির কর্তৃপক্ষকে মিল গেটে ও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ শিবির করে ধান কেনার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সরকারি সংস্থা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম, বেনফেড, নাফেড, কনফেড ও এনসিসিএফ-কে সমবায়ের মাধ্যমে প্রতিটি ব্লকে শিবির করে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।
জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, তিন মাস পার হতে চললেও অধিকাংশ সমবায় সমিতি এখনও ধান কেনার কাজ শুরু করেনি। খাদ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, জেলার ১৩৫টি সমবায় সমিতিকে শিবির করে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার দ্বায়িত্ব দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত ৫৬টি সমবায় সমিতি ধান কেনার কাজ শুরু করেছে। এ দিকে, জেলার মোট ৩৪টি চালকলের মধ্যে ২৮টিই কাঁথি, হলদিয়া মহকুমায় রয়েছে। ফলে চালকলগুলির সুবাদে ওই সব এলাকায় ধান কেনার কাজ অনেকটা এগোলেও তমলুক, এগরা মহকুমায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। জেলায় যেখানে চলতি বছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে এখনও পর্যন্ত জেলায় ধান কেনা হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো।
গ্রামীণ সমবায় সমিতিগুলি গড়িমসি করছে কেন?
সমবায় সমিতির কর্তাদের বক্তব্য, ধান কেনার দ্বায়িত্ব দেওয়া হলেও আগাম কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া আমানতের অল্প পুঁজি নিয়ে ধান কেনার কাজ সম্ভব নয়। তাই টাকার অভাবেই ধান কেনার কাজ শুরু করা যায়নি। সমবায় সমিতির আর্থিক সমস্যার কথা মেনে নিয়েছে জেলা খাদ্য দফতর। জেলার সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনও বলেন, ‘‘ধান কেনার গতি বাড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য রাজ্যকে আবেদন করা হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.