বিষয়: ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু
ডুয়ার্সে প্রতিনিধি দল
ট্রেনের ধাক্কায় পরপর হাতি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ডুয়ার্সে আসছেন রেল, বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই দলটি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে মহানন্দা অভয়ারণ্য পর্যন্ত চলে যাওয়া রেল লাইনে হাতির করিডর ঘুরে দেখবেন। পরে তাঁরা রাজাভাতখাওয়ায় রাজ্য বন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “ওই প্রতিনিধি দলটি ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখবেন। সমস্যা সমাধানে কী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব সেই বিষয়ে কিছু প্রস্তাব দেবেন।”
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত জানুয়ারি মাসে ডুয়ার্সের দমনপুর রেঞ্জের জঙ্গলে ডিব্রুগড়-ঝাঝা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় চারটি হাতি মারা যায়। ওই ঘটনা নিয়ে ১০ বছরে উত্তরবঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় ৩৬ হাতির মৃত্যু হয়। প্রতিটি ঘটনার পরে রেল ও বন দফতরের মধ্যে নিয়ম মাফিক বৈঠক হলেও সমস্যার সমাধান সূত্র মেলেনি। এক কর্তার জানান, ওই ঘটনা নজরে আসতে এলাকা ঘুরে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। সেই মতোই আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রেলের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ওই মন্ত্রকের কর্তারা ডুয়ার্সে আসছেন। তাঁরা জঙ্গলের পেট চিরে যাওয়া রেল লাইন ঘুরে দেখবেন।
বনকর্তাদের অভিযোগ, কোচবিহার গুয়াহাটি রুটে ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিমির কম থাকার কথা থাকলেও সেটা মানা হয় না। রাতে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা কয়েকবার জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। এমনকী বন ও পরিবেশ মন্ত্রক দেড় বছর আগে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ‘আন্ডারপাস ওয়াচ টাওয়ার’ তৈরির মত কিছু পরিকল্পনা নেয়। প্রকল্পে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। সেই কাজেও তেমন গতি নেই হলে বনকর্তাদের অভিযোগ। উত্তরবঙ্গের বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিপিন কুমার সুদ বলেন, “দিল্লির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে সমস্ত সমস্যা তুলে ধরা হবে।” রেলের কর্তারা ওই বিষয়ে মুখ খোলেননি। পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “গত তিন বছরে ট্রেনের ধাক্কায় উত্তরবঙ্গে অন্তত ১৩টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বন পরিবেশ মন্ত্রক ও রেলের যৌথ প্রতিনিধি দল এবার প্রথম উত্তরবঙ্গে আসছেন। তাই এ বার সমাধান সূত্র কিছু মিলবে বলে আশা করছি।”

কেশপুরে অবরোধ
গাছ কাটার অভিযোগে শুক্রবার পথ অবরোধ হল কেশপুর-চন্দ্রকোনা সড়কে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কেশপুরের বিডিও মহম্মদ জামিল আখতার। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। কেশপুর-চন্দ্রকোনা সড়ক সম্প্রসারণ এবং সংস্কারের জন্য রাস্তার পাশের কয়েকটি গাছ কাটার প্রয়োজন ছিল। সেই মতো গাছ কাটার বরাত দেওয়া হয়। শুক্রবার স্থানীয় মানুষের একাংশ দাবি করেন, যে এলাকার গাছ কাটার কথা, তার বাইরে গাছ কাটা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলেই শুরু হয় অবরোধ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.