টুজি-কাণ্ডে লাইসেন্স বাতিল হওয়া যে সমস্ত টেলিকম সংস্থা গত নিলামে নতুন করে স্পেকট্রাম পায়নি বা নিলামে অংশই নেয়নি তাদের অবিলম্বে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে তাদের নির্দেশ, আর ফেলে না রেখে কেড়ে নেওয়া সব টুজি স্পেকট্রাম অবিলম্বে নিলাম করুক কেন্দ্র।
টুজি স্পেকট্রাম বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে ২০১২-র ফেব্রুয়ারিতে দেশ জুড়ে ১২২টি লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এর পর গত নভেম্বরে দু’দফায় ফের নিলাম হয় ওই ফিরিয়ে নেওয়া স্পেকট্রাম। সেই পর্বে বেশ কিছু সংস্থা বিভিন্ন সার্কেলের স্পেকট্রাম কিনলেও, কয়েকটিতে তা অবিক্রিতই থেকে যায়। কিছু সংস্থা আবার কোনও কোনও সার্কেলের নিলামে দর হাঁকেনি। অনেকে নিলামে অংশ নেওয়া থেকেই বিরত থেকেছে। কিন্তু তার পরও কিছু সংস্থা বাতিল হওয়া সার্কেলে পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ দিন সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, লাইসেন্স বাতিল হওয়া যে সব সংস্থা গত নিলামে স্পেকট্রাম জিততে পারেনি বা নিলামে অংশ নেয়নি, তাদের সেই সংশ্লিষ্ট সার্কেলে পরিষেবা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এর ফলে প্রশ্নের মুখে মুম্বইয়ে টেলিনর ও দেশের ২১টি সার্কেলে (কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল-সহ) সিস্টেমা টেলি সার্ভিসেস-এর (এসএসটিএস)পরিষেবা।
মুম্বইয়ের লাইসেন্স আগে খোয়ালেও এখনও সেখানে পরিষেবা দিচ্ছে টেলিনর। অথচ নিলামে অন্য সার্কেলে স্পেকট্রাম জিতলেও মুম্বইয়ে অংশই নেয়নি তারা। অন্য সার্কেলে নতুন করে স্পেকট্রাম জেতায় সেখানে পরিষেবার উপর এই রায়ের প্রভাব পড়বে না বলে দাবি সংস্থার। যদিও আদালতের রায় খতিয়ে না দেখে বাকি বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি তারা।
আবার গত নিলামে সিডিএমএ স্পেকট্রামের জন্য অংশ নেয়নি কোনও সংস্থাই। কিন্তু লাইসেন্স বাতিল হলেও এসএসটিএল এখনও ২১টি সার্কেলে পরিষেবা দিচ্ছে। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অবশ্য গত ১০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে তাদের আর্জির কথা উল্লেখ করে বলেছে, তারা পরিষেবা চালাতে ও আসন্ন নিলামে অংশ নিতে চায়। |