|
|
|
|
লক-আপে মারপিট বন্দিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
আদালতের পুলিশ লকআপে মারপিটের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ল দুই দল বিচারাধীন বন্দি। বৃহস্পতিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালতের পুলিশ লকআপে ঘটনাটি ঘটেছে। সন্ধ্যা অবধি দফায় দফায় মারপিটের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কর্মীরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দুই বিচারাধীন বন্দি আহত হয়েছেন। তাদের মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “এদিন বিকালে আদালতের লকআপে কয়েকজন বন্দি মারপিট করেন। তবে কী কারণে মারপিট হয় তা স্পষ্ট নয়।” আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত জুল্লত ওরফে আনিমুল মিঁয়া এবং জয়গাঁ ডাকাতির ঘঠনায় অভিযুক্ত রবীন সুব্বা’র দলবলের মধ্যে মারপিট হয়। ধীরে ধীরে বন্দিরা দুই দলে ভাগ হয়ে মারপিট শুরু করায় উত্তেজনা ছড়ায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অনুমান, পুরানো কোনও বিবাদের জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। কতর্ব্যরত পুলিশ কর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের এআইজি (কারা) কমল মুখোপাধ্যায় জানান, আলিপুরদুয়ার বিশেষ সংশোধনাগার থেকে ওই বন্দিদের আদালতের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে মারপিটের খবর পেয়েছি। কী কারণে বন্দিরা মারপিটে জড়াল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফালাকাটার বাসিন্দা রামু সজ্জন জানান, সম্প্রতি পুলিশ ছয় বন্ধুকে জুয়ার আসর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিন সংশোধনাগার থেকে তাদেরও আদালতের দিন থাকায় পাঠান হয়। কিন্তু লকআপে জামিননামা গোলমালের সময় অন্য বন্দিরা ছিঁড়ে দেন। পুলিশকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।
স্বীকৃতির দাবি। কুরুখ ভাষাকে রাজ্যে দ্বিতীয় ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া-সহ প্রাথমিক স্কুল স্তরে শীঘ্র ওই ভাষায় পঠনপাঠনের দাবিতে জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেওয়া হল। বুধবার কুরুখ লিটারেসি সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার জেলা নেতারা ডেপুটেশন দেন। ওই ভাষায় পঠনপাঠন চালু করা হলে শিশুরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে বলে দাবি সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি আকাশ ভকতের। |
|
|
|
|
|