জঙ্গিকে জেরা করে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুমারগ্রাম |
ধৃত কেএলও জঙ্গিকে জেরা করে অসম সংলগ্ন কুমারগ্রামে উদ্ধার হল অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ‘এইচ-কে ৩৩’ রাইফেল ৩০০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও চারটি গ্রেনেড। বুধবার রাতে উত্তর পাকড়িগুড়ি গ্রামে সঙ্কোশ নদী সংলগ্ন বাঁশ বাগানে মাটি খুঁড়ে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলি কালো পলিথিনে মুড়ে মাটিতে পুঁতে রাখা ছিল। এক সঙ্গে এত কার্তুজ, গ্রেনেড ও একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ কর্তারা উদ্বিগ্ন। আরও কোথাও অস্ত্র লুকিয়ে রাখা আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাগলভি বলেন, “ধৃত জঙ্গি প্রদীপ রায় ওরফে রঘুকে জেরা করে ওই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান মিলেছে। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও আরও অস্ত্র লুকিয়ে রাখা আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ছবি: রাজু সাহা। |
গত সোমবার কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে অসমের শিমুলটাবু এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ রায় ওরফে রঘুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই জঙ্গির কাছ থেকে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা, দু’টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড এবং একটি ম্যাপ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত প্রদীপ রায় জেরায় ১১ জনের নাম জানায়। প্রত্যেকে অসমের বাসিন্দা। সেই সঙ্গে প্রদীপ আগ্নেয়াস্ত্র নদী সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে রাখার কথা জানায়। ওই সূত্র ধরে বুধবার কুমারগ্রাম থানার পুলিশ অসম পুলিশের সহযোগিতায় প্রথমে রঘুর শিমুলটাপুর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। পরে রাতে কুমারগ্রাম থানা এলাকার উত্তর পাখরিগুড়ি গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, “কেএলও জঙ্গিরা অসমের ধুবরি ও কোকরাঝাড়কে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে নাশকতার চেষ্টা করছে। ওই কারণে অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে কি না সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ ধৃত জঙ্গিকে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জানান, ওই জঙ্গিকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
রাইফেলের নাম এইচ কে ৩৩ |
পুরো নাম হেকলার অ্যান্ড কচ ৩৩। পশ্চিম জার্মানিতে ১৯৬০ সালে প্রথম ওই রাইফেল তৈরি হয়। লম্বায় ৩ ফুটের সামান্য বেশি। ওজন প্রায় ৪ কেজি। ৫০০ মিটার দূর থেকেও অব্যর্থ। এক মিনিটে ৭৫০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে। ছুড়তে পারে গ্রেনেডও। ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, তুর্কি, চিলি এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনী এই রাইফেল ব্যবহার করে। |
|