মন্দিরে চুরি, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলি |
মন্দিরে চুরি করে পালানোর সময় বাধা পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। তবে তাতে কেউ হতাহত হয়নি। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার হামাদামা বাজারে। মন্দিরের পুরোহিত গণেশ ভট্টাচার্যের দাবি, “দুষ্কৃতীরা বিগ্রহের গা থেকে প্রায় ১০ ভরি সোনার অলঙ্কার ও ১০০ ভরি রুপোর অলঙ্কার, পুজোর সরঞ্জাম ও একটি আলমারি গাড়িতে করে নিয়ে পালায়।” প্রসঙ্গত, গত এক মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপা, সাধুখাঁ পাড়া, হাড়োয়ায় একের পর এক চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এমনকী রাতে পুলিশ ও আরজিপার্টির পাহারা সত্ত্বেও চুরি আটকানো যায়নি। ওই সব চুরির কোনো কিনারা হওয়ার আগে ফের হামাদামা বাজারে মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের গাফিলতির কারণেই দুষ্কৃতীদের উপদ্রব বাড়ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। দেগঙ্গা থানার এসি শান্তিরঞ্জন পাঁজা বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
|
বচসার সময় পড়ে গিয়ে মৃত্যু |
নাতিকে শাসন করা নিয়ে শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়ার সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হল শাশুড়ির। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার শ্রীরামপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সহেরবানু বিবি (৪৮)। ঘটনার পর থেকে ছেলে মহিদুল ইসলাম মণ্ডল এবং বৌমা আম্বিয়া বিবি ছেলেকে নিয়ে পলাতক। সহরবানু বিবির স্বামী পুলিশকে জানিয়েছেন, নাতিকে বকাঝকা নিয়ে বৌমার সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া বাধে। সেই সময় দু’জনের ধাক্কাধাক্কিতে হঠাত্ই সহরবানু পড়ে যাওয়ায় তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। প্রতিবেশী সূত্রেও একই ররকম বক্তব্য পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা শুরু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
মেয়েকে নিয়ে ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার যশোহর রোডে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বিকেলে স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে ভ্যানরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন মা। এক যুবক ভ্যানে উঠে ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করে। মহিলার চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরাই ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
|
চার তোলাবাজের দৌরাত্ম্যে আতঙ্ক ছড়াল সোদপুরের রাসমণি মোড়ে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ দু’টি মোটরবাইকে এসে এলাকার এক নির্মীয়মাণ বহুতলে বোমাবাজি করে চার দুষ্কৃতী। জখম হন তিন নির্মাণকর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এর পরে শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বি টি রোডের দিকে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশকর্তারা জানান, ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের প্রোমোটারের বিরুদ্ধে আগেও পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল। উত্তম নামে এক দুষ্কৃতীর নাম উঠে এসেছে এই ঘটনায়। বেলঘরিয়ার এডিসি বিশ্বজিত্ ঘোষ বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে পুরো ঘটনাটি পরিষ্কার হবে। তবে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
|
সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু ছাত্রের |
সিলিন্টার ফেটে মৃত্যু হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রের। আরও তিন ছাত্রও জখম হয়েছে। তাদের কলকাতাপর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুনিয়া তানার নারায়ণপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্র ইউসুফ মণ্ডলের (১১) বাড়ি হায়দরপুর গ্রামে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রাতে ওই গ্রামে একটি ধর্মসভা হচ্ছিল। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ওই সভায় গিয়েছিল ইউসুফ। সেখানে গ্যাস বেলুন কেনার সময় সিলিন্ডার ফেটে ওই চারজন গুরুতর জখম হন।
|
আরাবুলের আত্মহত্যার প্রবণতা দেখছেন মনোবিদ |
মেডিক্যাল বোর্ড বুধবারেই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। কিন্তু সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান প্রদীপ সাহা তাঁকে পরীক্ষা করে বলেন, রোগীর মানসিক অবস্থা ভাল নয়। তাঁর মধ্যে হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন পিজি-কর্তৃপক্ষ। ৭২ ঘণ্টা না-কাটলে আরাবুলকে ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে চিকিৎসকেরা বৃহস্পতিবার জানান। অবসাদ কাটাতে মঙ্গলবার থেকেই তাঁকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। প্রদীপবাবু বলেন, “আরাবুলের ঘুম হচ্ছে না, খিদে হচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, কোনও আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না, অবসন্ন লাগছে। সব চেয়ে বড় কথা, তাঁর মনে আত্মহত্যার ইচ্ছে জাগছে। ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ ছাড়া কিছু বলা যাবে না।” পিজি-র সুপার তমাল ঘোষের কথায়, “আমরা ছেড়ে দিতে রাজি ছিলাম। কারণ আরাবুলের আর শারীরিক সমস্যা নেই। কিন্তু মনোবিদের কথায় পিছিয়ে এলাম।” |