|
|
|
|
বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো
হল ৬০ অনুপ্রবেশকারীকে |
সীমান্ত মৈত্র • পেট্রাপোল |
বেশ কয়েক বছর জম্মু-কাশ্মীরের সংশোধনাগারে থাকার পর উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দেড়শো জনের একটি দল বৃহস্পতিবার সকালে ওই ৬০ জন অনুপ্রবেশকারীকে পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে আসেন। ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি অজয় জামবাল।
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহের বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ চলছে। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশ কিংবা বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে বহু অনুপ্রবেশকারী। গত ৯ ফেব্রুয়ারি শিশু ও মহিলা-সহ ৩৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মেচেদা স্টেশন থেকে। তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীদের সংশোধনাগারে পাঠানো হলেও বহু ক্ষেত্রেই আইনি জটিলতা এবং দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া চলার কারণে ধৃত অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরিয়ে যায় দীর্ঘ সময়। |
পেট্রাপোল সীমান্তে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় অনুপ্রবেশকারীরা। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ সূত্রের খবর, যে পরিমাণ অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে, তার তুলনায় খুব কমই অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়। অনেক সময়, সংশোধনাগারে থাকা বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ সরকার নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করতে চায় না। সে ক্ষেত্রেও তৈরি হয় জটিলতা। তবে প্রশাসনের কর্তাদের মতে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুততার সঙ্গে করা হলে দেশে অনুপ্রবেশ নিয়ে সমস্যা অনেকটাই মিটবে।
এ দিন দেশে ফেরার পথে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের বাসিন্দা জুয়েল আহমেদ, সাতক্ষীরার বাদশা মিঞা, কক্সবাজারের বাসিন্দা আবদুল মজিদ জানান, তাঁরা দালালের মাধ্যমে হিলি সীমান্ত, বসিরহাট সীমান্ত, বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন। তারপর কাজের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরে যান। সেখানেই ধরা পড়ে যাওয়ায় সংশোধনাগারে ছিলেন। তবে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ভালই ব্যবহার করতেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। বহু দিন পর নিজের দেশে ফিরতে পারার খুশি ছিল এ দিন তাঁদের চোখে-মুখে। সীমান্তের ওপারে বেনাপোলে নিজেদের প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁদের পরিবার। |
|
|
|
|
|