|
|
|
|
হেনস্থার শিকার মহকুমাশাসক |
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় • সিঙ্গুর |
সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে এ বার হেনস্থার শিকার হলেন শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে সিঙ্গুরের মল্লিকপুর এলাকায় গাড়ি থেকে নামনোর চেষ্টা করে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ এবং অন্য সরকারি কর্মীরা বাধা দিলে সাময়িক রাস্তা অবরোধ করা হয়। সিঙ্গুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে গ্রামবাসীদের হঠিয়ে দেয়। গ্রেফতার হন দু’জন।
জয়সি দাশগুপ্ত |
এ দিন সকাল থেকেই জেলা পরিবহণ দফতরের কর্মীদের নিয়ে বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডে অতিরিক্ত পণ্যবাহী (ওভারলোডেড) গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন মহকুমাশাসক। একটি বালিভর্তি ট্রাককে তাঁরা থামাতে বলেন। কিন্তু ট্রাকটি পালানোর চেষ্টা করে। তখন মহকুমাশাসক নিজেই গাড়িতে করে পিছু ধাওয়া করে ট্রাকটির সামনে দাঁড়ান। এর পরেই স্থানীয় কিছু লোক মহকুমাশাসকের গাড়ি ঘিরে ধরেন। ট্রাক আটকানোর কৈফিয়ত চান তাঁরা।
জয়সিদেবী বলেন, “ওরা আমার গাড়ির কাছে ধাক্কাধাক্কি করে। গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করে আমাকে। আমার দেহরক্ষী রুখে দাঁড়ান।” ঘটনার পর পরই মহকুমাশাসক নিজে সিঙ্গুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ট্রাকটি হুগলির দাদপুরের মশাগ্রামের বালিখাদ থেকে শেওড়াফুলির দিকে আসছিল। গাড়িটিতে অন্তত ৮ টন বালি বেশি ছিল। তাই পরিবহণ কর্মীরা ট্রাকটিকে থামতে বলেন। ট্রাকটির মালিক সনাতন পাল। চালক সুকুমার দাস। সনাতনবাবু জানান, “আরটিও দফতর থেকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দফতরের কর্মীরা আমাকে মারধর করে। মল্লিকপুরের কাছে গ্যারাজে গাড়ি রাখি। সেখানে আমার পরিচিতরা আমাকে মারতে দেখে প্রতিবাদ করেন।”
তদন্তকারী অফিসাররা জানান, ঘটনাস্থল থেকে চিন্ময় সাউ এবং অষ্টু সাঁতরাকে গ্রেফতার করা হয়। চিন্ময় মল্লিকপুরেরই বাসিন্দা। অষ্টু স্থানীয় রতনপুরের। এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষ বলেন, “বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
হুগলির ট্রাক মালিক সংগঠনের কর্তা প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “যেখানে মাল ট্রাকে তোলা হয়, সেখানে ওভারলোডিংয়ের বিষয়টি পরীক্ষা না করেই রাস্তায় চালকদের হেনস্থা করা হচ্ছে আজ-কাল। আরটিও-কর্মীরা ট্রাক চালকদের থেকে টাকা নিয়ে ওভারলোডেড গাড়ি ছেড়ে দেয়।” প্রশাসন বিষয়টি মানছে না বলেই ঝামেলা হচ্ছে, দাবি তাঁদের। |
|
|
|
|
|