সরস্বতীর কাছে হেরে গেলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। শুক্রবারই সরস্বতী পুজো। তাই তার আগে তেমন জমল না ভালোবাসার দিনের ‘সেলিব্রেশন।’
বৃহস্পতিবার সারাদিন কিশোর-কিশোরীরা ব্যস্ত থাকল পুজোর আয়োজনে। কোথাও বাড়ির পুজোর আলপনা, কেউ বা আবার ‘স্যরের’ বাড়ির পুজোর বাজার নিয়ে ব্যস্ত। তার মধ্যেই হাত বদল হল গোলাপ কিংবা কার্ড।
তবে নবদ্বীপ-মায়াপুর এ বার চোখ ধাঁধানো পুজোর আয়োজন করেছে। মায়াপুরের অন্তত ছ’টি পুজোর বাজেট দেড় লক্ষ টাকার বেশি। পিছিয়ে নেই নবদ্বীপও। এ বার প্রথম সরস্বতী পুজোতে থিমের রমরমা। নবদ্বীপের অমরাভারতী ক্লাব এ বারই প্রথম থিমপুজোর আয়োজন করছে। বিষয় শিক্ষা ও প্রগতি। মাঠের মাঝে কুঁড়েঘর। খড়ের বারান্দায় বসে ছাত্র পরাচ্ছেন দেবী সরস্বতী। চালাঘরের চারপাশে লেখা‘একটি গাছ, একটি প্রাণ’, ‘সুস্থ দেহ সুস্থ মনের জন্ম দেয়।’ পুজো মণ্ডপে গাছ। উদ্যোক্তারা জানালেন, “আগামী বছর দুর্গা প্রতিমা হবে থিমের। তার আগে এটাকে একটা মহড়া বলা যেতে পারে। বাজেট ৫০ হাজার।”
তবে সরস্বতী পুজোয় সবচেয়ে ধুমধাম প্রাচীন মায়াপুরে। সেখানে পাশাপাশি ৮টি ক্লাবের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিটি ক্লাবেরই বাজেট গড়ে দেড় লক্ষ টাকা। ‘ইলেভন ফ্রেন্ডস’ ক্লাবের সন্দীপ সাহা বলেন, “ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় থাকছে ৪০০ ফোয়ারা। বাজেট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার।” প্রাচীন মায়াপুরের জামতলা অবশ্য ৪০০ ফোয়ারাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে হাজার পুতুলের মণ্ডপ দিয়ে। অগ্রদ্বীপের নতুনগ্রামের লোক শিল্পীদের তৈরি মমি পুতুল দিয়ে সাজানো মণ্ডপে লোক আঙ্গিকের প্রতিমা। ক্লাবের পক্ষে শীর্ষেন্দু ভৌমিক বলেন, “নবদ্বীপের অদূরে নতুন গ্রামের পুতুল দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। শুধু পুতুলের জন্যই ধার্য হয়েছে ১০ হাজার টাকা।”
যোগনাথতলার পুজো অবশ্য অন্য ধারার। দশ হাত উচ্চতার বাংলা সাজের প্রতিমার সঙ্গে টানা ৫ দিন ধরে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের তরফে আদিত্য সিদ্ধান্ত বলেন, “সরস্বতী বিদ্যার দেবী। তাই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডই তার পুজোর সঠিক উপাচার। সব মিলিয়ে আমাদের বাজেট এক লক্ষ টাকা।” |