দাঁতনেই কাবু তামাম পুলিশ কর্মীরা।
শুনানি শেষ। কোর্ট হাজত থেকে তাদের গাড়িতে তোলা হচ্ছে। গাড়ি ছুটবে চেনা গন্তব্য সংশোধনাগার। আচমকা ধুলো ঝড়। আর আদালতের চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষজন দেখলেন লাল গুলোয় চোখ কচলাচ্ছেন জনা চারেক পুলিশ কর্মী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাত চাড়িয়ে চম্পট দিল ছ-জন আসামী।
ঘটনাস্থল কৃষ্ণনগর জেলা আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরে ফেরার তোড়জোর চলছে। হট্টগোলটা শুরু হল তখনই। মাজন ছুঁড়ে চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিল ছয় দৃষ্কৃতী। তবে খুব একটা সফল হয়নি কেউই। ডাকাতি ও খুনের অভিযোগে ধৃত দু-জনকে আদালত চত্বরেই ধরে ফেলে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু বাকিরা? খোঁজ পড়তেই পুলিশ দেখে বাকি চার জন উর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে। জনতাও তাদের পিছু ধাওয়া করে। |
অচেনা কৃষ্ণনগরে তারা অবশ্য বিশেষ ঠাওর করতে পারেনি যে চাষাপাড়ার গলিটা আদতে কানাগলি। তাই খাঁচায় পড়া ইঁদুরের মতো মিনিট পনেরোর মধ্যেই ধরা পড়ে যায় তারা। ফের তাদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। আর ভুল নয়, গাড়ি ছোটে সংশোধনাগারের দিকে। পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে বিচার চলছিল ওই ছয় আসামীর। এ দিন সকালে তাদের হাজির করানো হয়েছিল আদালতে। বিচার শেষ হলে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছিল। ভ্যানে ওঠার মুখেই দুই দুষ্কৃতী আচমকা প্যান্টের পকেট থেকে লাল মাজনের গুঁড়ো বের করে ছিটিয়ে দেয় পুলিশকর্মীদের দিকে। সেই সুযোগে পালায় তারা। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছ’জনই ২০০৯-এর ১১ অগস্ট চাপড়ার হাতিশালায় ডাকাতি করতে গিয়ে খুন করে বাড়ির মালিককে। এসপি সব্যসাচীরমন মিশ্র বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে পুলিশকর্মীর গাফিলতি প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |