|
|
|
|
আরও ১২টি স্বসহায়ক দলকে দায়িত্ব পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে রান্নার জন্য চাল-ডাল সরবরাহের দ্বায়িত্ব দেওয়া হল পূর্ব মেদিনীপুরের আরও বেশ কিছু স্ব-সহায়ক দলকে।
জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী, ময়নায় শিশু বিকাশ প্রকল্পে গত কয়েক বছর ধরেই চাল, মুসুর ডাল সরবরাহের দ্বায়িত্বে রয়েছে তমলুক ব্লক মহিলা বিকাশ মহাসঙ্ঘ। এ বার জেলার আরও ১০টি ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্পে চাল ও মুসুর ডাল সরবরাহের দ্বায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে জেলারই ১২টি স্ব-সহায়ক দলকে।
শিশু বিকাশ প্রকল্পে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির জন্য রান্না করা খাবার দেওয়া হয় গ্রামীণ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকে। জেলার এই সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার জন্য চাল, মুসুর ডাল, সর্ষের তেল, আয়োডিন যুক্ত লবণ সরবরাহের দ্বায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমের হাতে। রাজ্য সরকারের নারী, শিশু কল্যাণ ও সমাজ কল্যাণ দফতরের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলার পটাশপুর-২, নন্দীগ্রাম-৩ (চণ্ডীপুর), মহিষাদল-১ (নন্দকুমার), মহিষাদল-২, কাঁথি-১, কাঁথি-২ (দেশপ্রাণ), এগরা-১, খেজুরি-১, ভগবানপুর-১, পাঁশকুড়া-২ (কোলাঘাট)এই ১০টি ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্পের চাল ও মুসুর ডাল সরবরাহের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন স্ব-সহায়ক দলের সঙ্ঘ, মহাসঙ্ঘকে। জেলা পরিষদের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্য বলেন, “তমলুকের একটি স্ব-সহায়ক মহাসঙ্ঘ কয়েক বছর আগেই শিশু বিকাশ প্রকল্পে চাল-ডাল সরবরাহের দ্বায়িত্ব পেয়েছিল। তারা সফল ভাবেই সেই দ্বায়িত্ব পালন করছে। তাই আমরা প্রায় দেড় বছর আগেই জেলার আরও ১৯টি ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্পে চাল,ডাল সরবরাহের দ্বায়িত্ব স্বসহায়ক দলগুলিকে দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম রাজ্য সরকারের কাছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার ১০টি ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্পে চাল, ডাল সরবরাহের দ্বায়িত্ব দিয়েছে ১২টি স্ব-সহায়ক সঙ্ঘ, মহাসঙ্ঘকে। এর ফলে জেলায় স্ব-সহায়ক দলের কাজের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পেল।” |
|
|
|
|
|