নিয়ম ভেঙে লরি চলছে ঝাড়গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ব্যস্ত সময়ে ঝাড়গ্রাম শহরের রাস্তা দিয়ে মালবাহী লরি চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন মহকুমাশাসক। কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র আকরিক লোহা বোঝাই লরিগুলির ক্ষেত্রেই কার্যকর করা হচ্ছে। অন্য পণ্যবাহী লরিগুলি সারাদিনই শহরের রাস্তায় যাতায়াত করছে বলে অভিযোগ করলেন ঝাড়গ্রাম ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গোবিন্দ সোমানি। গোবিন্দবাবুর বক্তব্য, “প্রশাসনিক নির্দেশ মানছে কেবলমাত্র আকরিক লোহা বোঝাই লরিগুলি। পণ্যবাহী অন্য লরিগুলি ব্যস্ত সময়ে শহরে যাতায়াত করছে। পুলিশ নির্বিকার।”
গত সোমবার শহরের পুরনো ঝাড়গ্রাম এলাকার সাবিত্রী মন্দির মোড়ে আকরিক লোহা বোঝাই একটি লরির ধাক্কায় চার সাইকেল আরোহী জখম হন। উত্তেজিত জনতা সাতটি লরিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। |
|
লরি চলছে শহরে। —নিজস্ব চিত্র। |
ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে মহকুমাশাসক সিদ্ধান্ত নেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহরের জনবহুল রাস্তা দিয়ে মালবাহী লরি যাতায়াত করতে পারবে না। মালবাহী লরি চলাচলের জন্য শহরে বিকল্প পথ কী হতে পারে তা নিয়ে আগামী রবিবার পুর-কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় ডেকেছেন মহকুমাশাসক। তার আগেই অবশ্য বুধবার থেকে মহকুমাশাসকের নির্দেশ মেনে সকালে তিন ঘণ্টা ও বিকেলে দু’ঘণ্টা আকরিক লোহা বোঝাই লরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরের কদমকানন রেলওয়ে সাইডিং থেকে লরিতে করে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় আকরিক লোহা নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ শহরের উপকন্ঠে বাঁদরভুলায় গিয়ে দেখা গেল, আকরিক লোহা নিতে আসা খালি লরিগুলি সার সার দাঁড়িয়ে রয়েছে। অথচ অন্য মালবাহী লরি যাতায়াত করছে। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার কাজ আমার নয়।” |
|